আজ ক্লাসে
এক ছাত্রী অসাধারণ একটা প্রশ্ন করল 🤔
“স্যার, BMR ক্যালকুলেশনে
৬৬.৫, ১৩.৭৫—এসব
নির্দিষ্ট সংখ্যাগুলো এলো কোথা থেকে?”
প্রশ্নের
ভেতরেই লুকিয়ে আছে আসল শিক্ষা: শুধু মুখস্থ নয়, গভীরভাবে
বোঝার চেষ্টা!
আমি এত বছর BMR
আর BMI পড়িয়েছি, তবু কখনও
নিজে এ-প্রশ্ন করি-নি। ক্লাসে তৎক্ষণাৎ উত্তর দিতে পারিনি, তাই ক্লাস
শেষে ChatGPT ও
বিভিন্ন জার্নাল ঘেঁটে যা বুঝলাম,
সেটাই এখানে শেয়ার করছি—
মানুষের
শক্তির চাহিদা পরিমাপের জন্য বিজ্ঞানী হ্যারিস ও বেনেডিক্ট পুরুষ ও মহিলাদের জন্য
২টি সূত্র দেন-
সূত্রগুলি
হলো-
পুরুষদের
জন্য:
BMR = 66.5 + (13.75 × ওজন
কেজিতে) + (5.003 × উচ্চতা
সেন্টিমিটারে) − (6.755 × বয়স বছরে)
নারীদের
জন্য:
BMR = 655.1 + (9.563 × ওজন
কেজিতে) + (1.850 × উচ্চতা
সেন্টিমিটারে) − (4.676 × বয়স বছরে)
এই
সংখ্যাগুলো কোনো “গাণিতিক জাদু” নয়;
১৯১৯-সালে Harris
& Benedict হাজারো মানুষের ওজন,
উচ্চতা, বয়স
ও তাদের Basal
Metabolic Rate মেপে রিগ্রেশন অ্যানালাইসিস করে সূত্রটি বানিয়েছেন।
সহগগুলোর
মান দিয়ে বোঝায়-
১৩.৭৫ → প্রতি
কেজি ওজন বাড়লে BMR-এর
গড় বৃদ্ধি
৫.০০৩ → প্রতি
সেন্টিমিটার উচ্চতা বাড়লে BMR-এর
গড় বৃদ্ধি
−৬.৭৫৫
→ প্রতি বছর বয়স বাড়লে BMR-এর গড় হ্রাস (মাইনাস চিহ্ন!)
নারী-পুরুষের
পৃথক সমীকরণ
শরীরবৃত্তীয়
পার্থক্যের জন্য নারীদের ক্ষেত্রে সহগগুলো অন্য (যেমন ৯.৫৬৩, ১.৮৫০)।
আমরা এতদিন
দেখেছি সকল সূত্র প্রকৃতি থেকে জন্ম নেয় কিন্তু অনেক বৈজ্ঞানিক
সূত্রই এম্পিরিক্যাল— যেগুলো প্রকৃতি থেকে নয়, ডাটা থেকে জন্ম নেয়।
প্রশ্নই
জ্ঞানের চাবিকাঠি; আজকের
প্রশ্নটাই আমাকে নতুন করে ভাবতে শেখাল।
🙌 ধন্যবাদ সেই
কৌতূহলী ছাত্রীকে, আর
ধন্যবাদ তোমাদের—প্রশ্ন করতে কখনও দ্বিধা কোরো না!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন