অষ্টম
শ্রেণি
বিজ্ঞান
: অনুসন্ধানী পাঠ (একাদশ অধ্যায়)
ভৌগলিক
স্থানাঙ্ক, স্থানিক সময় এবং অঞ্চলসমূহ
2024 সালের নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান বইয়ের একাদশ অধ্যায় এর নোট দেওয়া হলো। শিক্ষার্থীরা অনুশীলন করলে উপকৃত হবে আশাকরি।
পাঠ্যবইয়ের বিষয়বস্তু সংশ্লিষ্ট
প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন১:
তুমি কি কখনো কর্কটক্রান্তি অতিক্রম করেছ? কর্কটক্রান্তির উপরে থাকলে ২১ শে জুন দুপুর
বারোটায় তোমার ছায়া পড়বে না, কথাটির অর্থ কী?
উত্তর: কর্কটক্রান্তি
রেখা হচ্ছে বিষুবরেখার সাপেক্ষে ২৩.৫°উত্তর অক্ষাংশ রেখা। বাংলাদেশের উপর দিয়ে এই রেখা
অতিক্রম করেছে। বাংলাদেশের অনেকগুলো জেলা দিয়ে কর্কটকান্তি রেখা অতিক্রম করেছে। ঢাকা,
কুমিল্লা, নারায়ণগঞ্জ, রাঙামাটিসহ মোট ১১টি জেলার উপর দিয়ে এই রেখা অতিক্রম করেছে।
হ্যাঁ, আমি কর্কটক্রান্তি রেখা অতিক্রম করেছি ঢাকা থেকে কুমিল্লা যাওয়ার সময়। কারণ
কর্কটক্রান্তি রেখাটি এই জেলাগুলোর মধ্য দিয়ে অতিক্রম করেছে।
প্রতি
বছর ২১ শে জুন দুপুর বারোটায় কর্কটকান্তি রেখার অন্তর্গত সকল স্থানে সূর্যের আলো লম্বভাবে
পড়ে। সূর্যালোক খাড়াভাবে বা লম্বভাবে পড়ায় ২১ শে জুন দুপুর ১২:০০ টায় আমার কোন ছায়া
পড়বে না।
প্রশ্ন ২:
তোমার স্কুলটি কি বিষুবীয় অঞ্চলে নাকি নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে?
উত্তর: নাতিশীতোষ্ণ
শব্দের অর্থ হচ্ছে ঈষৎ উষ্ণ অর্থাৎ উষ্ণ ও শীতলের মাঝামাঝি অবস্থা।
বিষুবীয় অঞ্চল হলো
পৃথিবীর পূর্ব থেকে পশ্চিম বরাবর পৃথিবীকে দুটি গোলার্ধে বিভক্তকারী অঞ্চল। বাংলাদেশ
নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে অবস্থান করছে। এ অঞ্চলের জলবায়ু হালকা থাকে সাধারণত উষ্ণ ও শীতলের
মধ্যে। তাই বলা যায় আমার স্কুলটি নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে অবস্থিত।
প্রশ্ন ৩:
তুমি কি জানো যে দৈর্ঘ্যের একক মিটারকে (m) এমনভাবে নির্ধারিত করার চেষ্টা করা হয়েছিল
যেন পৃথিবীপৃষ্ঠে তুমি যদি উত্তরে কিংবা দক্ষিণে ঠিক একশত কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম
কর তাহলে তোমার অক্ষাংশ ১ ডিগ্রি পরিবর্তন হবে? হিসাব করে দেখাও সেটি সত্যি। (পৃথিবীর
ব্যাসার্ধ ৬ হাজার কিলোমিটার)।
উত্তর: দেওয়া আছে,
পৃথিবীর ব্যাসার্ধ, R 6000 কি.মি.
পৃথিবীর
পরিধি = 2πR = 2×3.1416 × 6000 কি.মি.
= 37699.2 কি.মি.
আমরা জানি, পৃথিবীর
মোট অক্ষাংশ 360°
প্রতি ডিগ্রি পরিবর্তনের
জন্য দূরত্বের পরিবর্তন হবে 37699.2 /360 = 104.72 কি.মি
প্রতি ডিগ্রি অক্ষাংশ
পরিবর্তনের জন্য দূরত্ব অতিক্রম করতে হবে 104.72 কি.মি. যা 100 কি.মি. এর কাছাকাছি।
স্পেশাল কুইজ
প্রশ্ন ১।
ভৌগোলিক স্থানাঙ্ক বোঝার জন্য ব্যবহারিক রেখা দুটির নাম কী?
উত্তর: অক্ষরেখা ও
দ্রাঘিমা রেখা।
প্রশ্ন ২।
ভৌগোলিক স্থানাঙ্ক কী দ্বারা পরিমাপ করা হয়?
উত্তর: কোণ দ্বারা।
প্রশ্ন ৩।
এক সমকোণ সমান কত ডিগ্রি?
উত্তর: ৯০°।
প্রশ্ন ৪।
অক্ষাংশ কাকে বলে?
উত্তর: নিরক্ষরেখা
বা বিষুব রেখার ডিগ্রিকে।
প্রশ্ন ৫।
বিষুব রেখার অক্ষাংশ কত ডিগ্রি?
উত্তর: বিষুব রেখার
অক্ষাংশ = ০°
প্রশ্ন ৬।
উত্তর মেরুর অক্ষাংশ কত ডিগ্রি?
উত্তর: ৯০°উত্তর।
প্রশ্ন ৭।
দক্ষিণ মেরুর অক্ষাংশ কত ডিগ্রি?
উত্তর: ৯০°দক্ষিণ।
প্রশ্ন ৮।
অক্ষাংশ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে পৃথিবীর মধ্য বিন্দু কোথায় ধরা হয়?
উত্তর: মাঝখান দিয়ে
পৃথিবীর কেন্দ্রে।
প্রশ্ন ৯।
কোন যন্ত্রের সাহায্যে অক্ষাংশ নির্ণয় করা হয়।
উত্তর: সেক্সট্যান্ট
যন্ত্রের সাহায্যে।
প্রশ্ন ১০।
নিম্ন অক্ষাংশ কত ডিগ্রি?
উত্তর : ০ - ৩০ ডিগ্রি।
প্রশ্ন ১১।
মধ্য অক্ষাংশ কত ডিগ্রি?
উত্তর: ৩০-৬০ ডিগ্রি।
প্রশ্ন ১২।
উচ্চ অক্ষাংশ কত ডিগ্রি?
উত্তর: ৬০-৯০ ডিগ্রি।
প্রশ্ন ১৩।
অক্ষাংশ নির্ণয়ের পদ্ধতি কয়টি?
উত্তর: ২টি।
প্রশ্ন ১৪।
কারা প্রথম দ্রাঘিমাংশ ভাগ করেছিলেন?
উত্তর: আশেরীয়গণ।
প্রশ্ন ১৫।
দ্রাঘিমাংশ পরিমাপ করা হয় কীভাবে?
উত্তর: মূল মধ্যরেখার
সাহায্যে।
প্রশ্ন ১৬।
পৃথিবী মোট কতটি দ্রাঘিমাংশে বিভক্ত?
উত্তর: ৩৬০টি।
প্রশ্ন ১৭।
মূল মধ্যরেখার দ্রাঘিমাংশ কত?
উত্তর: ০ ডিগ্রি।
প্রশ্ন ১৮।
মূল মধ্যরেখা থেকে কত ডিগ্রি দ্রাঘিমাংশ আছে উত্তর ও দক্ষিণে?
উত্তর: ১৮০°।
১১.৪ মূল মধ্যরেখা
পাঠ্যবই, পৃষ্ঠা ১৩৬
প্রশ্ন ১৯।
আহ্নিক গতিতে পৃথিবী আবর্তন করে কীসের উপর?
উত্তর: মূল মধ্যরেখা।
প্রশ্ন ২০।
মূল মধ্যরেখার মান কত ডিগ্রি?
উত্তর: ০ ডিগ্রি।
প্রশ্ন ২১।
কোন শহরের কাছে মূল মধ্যরেখা অবস্থিত?
উত্তর: লন্ডন।
প্রশ্ন ২২।
গ্রিনিচ মান মন্দিরের উপর দিয়ে কোন রেখা টানা হয়েছে?
উত্তর: মূল মধ্যরেখা।
প্রশ্ন ২৩।
কোন রেখা দ্বারা পৃথিবীকে পূর্ব ও পশ্চিম গোলার্ধে বিভক্ত করা হয়েছে?
উত্তর: মূল মধ্যরেখা।
প্রশ্ন ২৪।
আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা কত সালে ঠিক করা হয়?
উত্তর: ১৮৮৪ সালে।
প্রশ্ন ২৫।
আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা মানচিত্রে কোন মহাসাগরের উপর দিয়ে টানা হয়েছে?
উত্তর: প্রশান্ত মহাসাগর।
প্রশ্ন ২৬।
১৮০°দ্রাঘিমা রেখাকে কোন রেখা বলা হয়?
উত্তর: আন্তর্জাতিক
তারিখ রেখা।
প্রশ্ন ২৭।
আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা কত ডিগ্রি বেঁকে টানা হয়েছে?
উত্তর: ১১ ডিগ্রি।
প্রশ্ন ২৮।
কোন অঞ্চলে সূর্য তির্যকভাবে কিরণ দেয়?
উত্তর: মেরু অঞ্চলে।
প্রশ্ন ২৯। মরুভূমিতে কত বছরে কত মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়?
উত্তর: ২৫০ মিলিমিটারের
কম।
প্রশ্ন ৩০।
কোন অঞ্চলে চিরহরিৎ বনভূমি সৃষ্টি হয়েছে?
উত্তর: ক্রান্তীয় অঞ্চলে।
প্রশ্ন ৩১।
তুন্দ্রা অঞ্চল কোন গোলার্ধে অবস্থিত।
উত্তর: উত্তর গোলার্ধে।
প্রশ্ন ৩২।
ক্যাকটাস জাতীয় উদ্ভিদ কোথায় দেখা যায়?
উত্তর: মরুভূমি অঞ্চলে।
প্রশ্ন ৩৩।
আর্কটিক শিয়াল দেখা যায় কোন অঞ্চলে?
উত্তর: তুন্দ্রা অঞ্চলে।
প্রশ্ন ৩৪।
পেঙ্গুইন দেখা যায় কোন অঞ্চলে?
উত্তর: মেরু অঞ্চলে।
প্রশ্ন ৩৫।
পরিবেশিক বিপর্যয়ের কারণ কী?
উত্তর: জলবায়ু পরিবর্তন।
প্রশ্ন ৩৬।
সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ার কারণ কী?
উত্তর: মেরু অঞ্চলের
বরফ গলে যাওয়া।
প্রশ্ন ৩৭।
অতিরিক্ত কার্বন ডাইঅক্সাইডের পরিমাণ বাড়ার কারণ কী?
উত্তর: অধিক হারে বৃক্ষ
নিধন।
প্রশ্ন ৩৮।
ওজন স্তর ধ্বংসের কারণ কী?
উত্তর: CFC গ্যাস।
প্রশ্ন ৩৯।
জীববৈচিত্র্য হুমকীর প্রধান কারণ কী?
উত্তর: জলবায়ু পরিবর্তন।
সংক্ষেপে উত্তর দাও
প্রশ্ন ১।
আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা কাকে বলে?
উত্তর: ১৮০°দ্রাঘিমা
রেখা বরাবর বিস্তৃত যে কাল্পনিক রেখার সাহায্যে পৃথিবীর বিভিন্ন অংশের দিন বা তারিখ
নির্ণয় করা হয় তাকে আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা বলে।
প্রশ্ন ২।
মূল মধ্যরেখা কাকে বলে?
উত্তর: মূল মধ্যরেখা
একটি কাল্পনিক দ্রাঘিমারেখা। এ রেখাটি অর্ধবৃত্ত এবং ইংল্যান্ডের গ্রিনিচ শহরের উপর
দিয়ে উত্তর দক্ষিণ মেরু পর্যন্ত বিস্তৃত।
প্রশ্ন ৩।
কর্কটক্রান্তি রেখা কাকে বলে?
উত্তর: উত্তর গোলার্ধে
২৩.৫°উত্তর অক্ষরেখাকে কর্কটক্রান্তি রেখা বলে।
প্রশ্ন ৪।
মকরক্রান্তি কাকে বলে?
উত্তর: দক্ষিণ গোলার্ধে
২৩.৫°দক্ষিণ অক্ষরেখাকে মকরক্রান্তি বলে।
প্রশ্ন ৫।
মেরু রেখা কাকে বলে?
উত্তর: পৃথিবীর কেন্দ্র
দিয়ে উত্তর-দক্ষিণে কল্পিত রেখাকে মেরু রেখা বলে।
প্রশ্ন ৬।
অক্ষরেখা কাকে বলে?
উত্তর: পৃথিবীর কেন্দ্রের
দিকে উত্তর ও দক্ষিণে কল্পিত রেখাকে অক্ষরেখা বলে।
প্রশ্ন ৭।
দ্রাঘিমা রেখা কাকে বলে?
উত্তর: পৃথিবীর কোনো
স্থান একটি নির্দিষ্ট প্রসঙ্গরেখা থেকে কতটা পূর্ব বা পশ্চিমে তা দ্রাঘিমাংশ দ্বারা
দেখানো হয়। যে রেখা দ্রাঘিমাংশ নির্দেশ করে তাকে দ্রাঘিমা রেখা বলে।
প্রশ্ন ৮।
বিষুব রেখাতে সূর্য খাড়াভাবে কিরণ দেয় কেন?
উত্তর: সূর্যের নিকটবর্তী
রেখা হওয়ার কারণে বিষুব রেখাতে সূর্য খাড়াভাবে কিরণ দেয়।
প্রশ্ন ৯।
চিরহরিৎ বন কাকে বলে?
উত্তর: চিরহরিৎ শব্দের
অর্থ চির সবুজ। যেসব উদ্ভিদের পাতা প্রত্যেক ঋতুতে সবুজ থাকে। এই ধরনের বৈশিষ্ট্য বিশিষ্ট
উদ্ভিদ সমষ্টিকে একত্রে চিরহরিৎ বন বলে।
প্রশ্ন ১০।
ক্রান্তীয় অঞ্চল কাকে বলে?
উত্তর: পৃথিবীর যে
সমস্ত অঞ্চলে বছরে কমপক্ষে একবার সূর্য সরাসরি খাড়াভাবে অবস্থান করে সেসব অঞ্চলকে ক্রান্তীয়
অঞ্চল বলে।
প্রশ্ন ১১।
কৌণিক দূরত্ব কাকে বলে?
উত্তর: দুটি রেখা তলের
অন্তর্গত কোণকে কৌণিক দূরত্ব বলে।
প্রশ্ন ১২।
গ্র্যাটিকুল কী?
উত্তর: অক্ষরেখা এবং
দ্রাঘিমা রেখা মিলে পৃথিবী পৃষ্ঠে অথবা গ্লোবের (পৃথিবীর ছোট মডেন) উপর ছক কাগজের ন্যায়
একটি কাঠামো তৈরি করে, যাকে বলা হয় গ্র্যাটিকুল।
প্রশ্ন ১৩।
বিষবীয় অঞ্চল কাকে বলে?
উত্তর: বিষুবরেখার
উত্তর দক্ষিণের কর্কটক্রান্তি ও মকরক্রান্তি রেখার মাঝখানের অঞ্চটি হচ্ছে বিষুবীয় অঞ্চল।
প্রশ্ন ১৪।
মেরু অঞ্চল কাকে বলে?
উত্তর: দুটি মেরু রেখার
উত্তরে এবং দক্ষিণের অঞ্চলকে বলে মেরু অঞ্চল।
ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণমূলক
প্রশ্ন ও উত্তর
ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন ১।
মূল মধ্যরেখার গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: মূল মধ্যরেখা
হলো প্রধান দ্রাঘিমা রেখা। ০°দ্রাঘিমা রেখাটি মূল মধ্যরেখা। মূল মধ্যরেখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ
রেখা। যেটি ইংল্যান্ডের লন্ডন শহরের গ্রিনিচ মান মন্দিরের উপর দিয়ে উত্তর থেকে দক্ষিণে
কল্পনা করা হয়েছে। মূল মধ্যরেখা দ্বারা পৃথিবীকে দুটি সমান ভাগে ভাগ করা হয়েছে। মূল
মধ্যরেখা সময় নির্ণয় বা নির্ধারণের জন্যও ব্যবহৃত হয়। বিভিন্ন মহাদেশ ও মহাদেশগুলোর
সীমানা নির্ধারণ করার জন্য মূল মধ্যরেখা ব্যবহার করা হয়। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে
বিভিন্ন দেশগুলোর সাথে যোগাযোগ এবং বাণিজ্যকে সহজ করার জন্য মূল মধ্যরেখার ব্যবহার
করা হয়। মূল মধ্যরেখার মান ০°ধরে এই রেখা দ্বারা সকল রেখাগুলো অঙ্কন করা হয়ে থাকে।
যেমন- অক্ষরেখা, দ্রাঘিমা রেখা, আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা ইত্যাদি। মূল মধ্যরেখা ছাড়া
কোনো কিছু নির্ণয় করা সম্ভব নয়।
অতএব বলা যায় যে, মূল
মধ্যরেখা অধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিটি ক্ষেত্রে।
প্রশ্ন ২।
ক্রান্তীয় অঞ্চলে চিরহরিৎ বন গড়ে ওঠার কারণ কী?
উত্তর: ক্রান্তীয় অঞ্চল
বলতে গ্রীষ্মপ্রধান অঞ্চলকে বুঝানো হয়। পৃথিবীর যে সমস্ত অঞ্চলে বছরে কমপক্ষে একবার
সূর্য সরাসরি খাড়াভাবে অবস্থান করে সেসব অঞ্চল ক্রান্তীয় বলয়ের অন্তর্ভুক্ত। নিরক্ষরেখার
কাছাকাছি হওয়ার কারণে এই অঞ্চলে সূর্য সরাসরি খাড়াভাবে কিরণ দেয়। খাড়াভাবে কিরণ দেয়
বলে এখানে বাষ্পের মাত্রা অনেক বেশি। ফলে বিকালের দিকে ও সন্ধ্যার দিকে অধিক পরিমাণ
বৃষ্টি হয়ে থাকে। বৃষ্টিপাতের কারণে গাছপালা সবুজ ও সতেজ থাকে। অধিক সূর্য তাপ পাওয়ার
কারণে অধিক পরিমাণ গাছ জন্মায় এবং বন গড়ে ওঠে, বনগুলো এতই ঘন হয়ে থাকে যে, কোনো কোনো
জায়গাতে সূর্যের আলোই পৌছায় না। অধিক সূর্য তাপ ও বৃষ্টিপাতের কারণে গাছপালা বা বনভূমি
খাদ্য তৈরি করতে পারে এবং উদ্ভিদের পাতাগুলো সবুজ ও বড় আকারের হয়ে থাকে ফলে অধিক পরিমাণ
সূর্যালোক গ্রহণ বা শোষণ করতে পারে। এ কারণে অধিক পরিমাণ পানি বাষ্পিভূত হয়ে বায়ুমণ্ডলে
জমা হয়ে থাকে। ক্রান্তীয় অঞ্চলে সূর্য সারা বছর কিরণ দেয়। অধিক সূর্য তাপের কারণে এ
অঞ্চল গ্রীষ্মমণ্ডলীয় হয়। এ কারণে অধিক বৃষ্টিপাত ঘটে এবং অঙ্কুরোদম ক্ষমতা বেশি হয়
বীজের।
অতএব বলা যায় যে, ক্রান্তীয়
অঞ্চলে চিরহরিৎ বনভূমি বা বনাঞ্চল গড়ে ওঠার অন্যতম কারণগুলো হচ্ছে নিরক্ষীয় অঞ্চলের
নিকটে হওয়ার কারণে এখানে সূর্য খাড়াভাবে কিরণ দেয় ও অধিক বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে। পরিমাণ
মতো পানি ও অঙ্কুরোদগমের জন্য পর্যাপ্ত আবহাওয়া থাকার কারণে এ অঞ্চলে চিরহরিৎ বনভূমি
গড়ে উঠেছে।
প্রশ্ন ৩।
মেরু অঞ্চলে সূর্য কীভাবে কিরণ দেয়?
উত্তর: মেরু অঞ্চল
ভৌগোলিক দুই মেরুর কাছাকাছি বা চারপাশের এলাকাকে মেরু অঞ্চল বলে। এই এলাকা অক্ষাংশ
মেরু অঞ্চল কাছাকাছি হওয়ার কারণে সূর্যের আলো তির্যকভাবে পড়ে এবং রোদের তাপ কম থাকে।
বিষুব, অঞ্চল থেকে মেরু অঞ্চলের দূরত্ব বেশি থাকার কারণে সূর্যের আলো সরাসরি খাড়াভাবে
কিরণ দিতে পারে না। ফলে এ অঞ্চলে তাপমাত্রা কম থাকে সারাবছর এবং বরফে ঢাকা থাকে। এখানের
জীবজন্তু এবং প্রাণীদের মধ্য মেরু ভালুক পেঙ্গুইন আর্কটিক শিয়াল এবং কয়েক প্রজাতির
তিমি ইত্যাদি।
প্রশ্ন ৪।
বাংলাদেশের উপর দিয়ে কোন রেখা অতিক্রম করেছে- ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: বাংলাদেশ দক্ষিণ
এশিয়ার একটি দেশ। বাংলাদেশের উপর দিয়ে যে ভৌগোলিক কাল্পনিক রেখা গেছে তার নাম কর্কটক্রান্তি
রেখা। নিরক্ষরেখা থেকে ২৩.৫০ উত্তর অক্ষাংশকে কর্কটক্রান্তি রেখা বলে। বাংলাদেশের
অবস্থান ২০০.৩৪' থেকে ২৬০.৩৮' উত্তর অক্ষাংশে। আর কর্কটক্রান্তি
রেখার অবস্থান ২৩.৫০ উত্তর অক্ষাংশ যা বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে গেছে। বাংলাদেশের
পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে ধরলে চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, মাগুরা, রাজবাড়ি, ফরিদপুর, ঢাকা,
মুন্সিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি মোট ১১টি জেলার উপর দিয়ে কর্কটক্রান্তি
রেখা অতিক্রম করেছে। কর্কটক্রান্তি রেখা যাওয়ার কারণে বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের ভৌগোলিক
বৈশিষ্ট্য লক্ষ করা যায়।
প্রশ্ন ৫।
ভৌগোলিক স্থানাঙ্ক ব্যবস্থা বলতে কী বুঝ?
উত্তর: ভৌগোলিক স্থানাঙ্ক
ব্যবস্থা হলো বর্তমানে বহুল ব্যবহারিত ব্যবস্থা। যা দ্বারা কোনো নির্দিষ্ট স্থানের
খুঁটিনাটি. বিষয়গুলো সম্পর্কে জানা যায়। অর্থাৎ পৃথিবীর কোনো স্থান বা স্থানের কোনো
অংশবিশেষ সম্পর্কে জানতে ব্যবহৃত হয় ভৌগোলিক স্থানাঙ্ক বা প্রকৃত অবস্থান। ভৌগোলিক
স্থানাঙ্ক হলো কোন নির্দিষ্ট স্থান সেটা বড় বা ছোট হতে পারে তার সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ
ধারণা পাওয়া যায়।
চিন্তন দক্ষতাভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন ১।
আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা কী- ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: আমরা জানি,
প্রতিটি দ্রাঘিমা রেখা এক একটি অর্ধবৃত্ত। এই কারণে মূল মধ্যরেখার একেবারে বিপরীত দিকের
যে দ্রাঘিমা রেখা আছে তার মান হবে 180°। এক্ষেত্রে শুধু মান 180° রেখা হয় কিন্তু এই
দ্রাঘিমাংশের কোনো পূর্ব বা পশ্চিম থাকে না। এই দ্রাঘিমা রেখার নাম আন্তর্জাতিক তারিখ
রেখা। পৃথিবীতে দিন তারিখ গণনার জন্য এই রেখাটির উদ্ভব। এই রেখার দুই পাশে দুইটি ভিন্ন
তারিখ ধরে নেওয়া হয়। বিষয়টি অনেক বিচিত্র মনে হলেও খুবই প্রয়োজনীয়। এই রেখাকে মাঝে
রেখে কেউ যদি পূর্ব গোলার্ধের দিকে যায় তবে সে পরের তারিখে চলে যাবে। আবার পূর্ব থেকে
পশ্চিম গোলার্ধের দিকে গেলে হবে উল্টোটা। পৃথিবীর
বিভিন্ন দেশে একই সময়ে বিভিন্ন রকমভাবে সূর্যের আলো পৌঁছায়। এই কারণে একই সময়ে কোথাও
দিন, আবার কোথায় রাত হয়। তাই কেউ যখন এক দেশ থেকে বলে তার ওখানে এখন বিকেল এটা একই
সময়ে অন্য গোলার্ধের দিকে যারা আছে তাদের জন্য ঠিক কয়টা তা হিসাব করতেই আন্তর্জাতিক
তারিখ রেখাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন ২।
ভৌগোলিক অবস্থান নির্ণয়ে দ্রাঘিমা রেখার ব্যবহার আলোচনা কর।
উত্তর: আমরা জানি,
অক্ষাংশ উত্তর-দক্ষিণ বরাবর কোনো স্থান বা বিন্দু ঠিক কোথায় আছে সেটি জানিয়ে দেয় কিন্তু
পূর্ব-পশ্চিম বরাবর সেই স্থান বা বিন্দু ঠিক কোথায় আছে সেটি দ্রাঘিমাংশ নির্দিষ্ট করে
দেয়। অতএব বলা যায় যে, কোনো স্থানের প্রকৃত অবস্থান জানার জন্য অক্ষাংশ এবং দ্রাঘিমাংশ
একত্রে ব্যবহৃত হয়। অক্ষরেখা এবং দ্রাঘিমা রেখা মিলে পৃথিবী পৃষ্ঠে একটি কাঠামো তৈরি
করে যাকে বলা হয় গ্র্যাটিকুল (Graticule)। কোনো স্থানের অক্ষাংশ এবং দ্রাঘিমংশ জানা
থাকলে আমরা সেই স্থানের অবস্থান বের করতে পারি। এছাড়া কোনো স্থানের সময় এবং তারিখ নির্ধারণের
জন্যও দ্রাঘিমাংশের মান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
অতএব উল্লেখিত আলোচনা
অনুসারে বলা যায় যে, অক্ষাংশ অনুসারে পূর্ব-পশ্চিম বরাবরে কোনো বিন্দুর অবস্থান নির্ণয়ে
গ্র্যাটিকুল তৈরিতে এবং কোনো স্থানের সময় ও তারিখ নির্ধারণে আমরা দ্রাঘিমা রেখা ব্যবহার
করে থাকি।
প্রশ্ন ৩।
স্থানভেদে সময়ের পার্থক্য হয় কেন- ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: স্থানভেদে সময়ের
পার্থক্য হয় দ্রাঘিমার পার্থক্যের কারণে। আমরা জানি, প্রতি ডিগ্রি দ্রাঘিমার জন্য সময়ের
পার্থক্য {(60 × 24) মিনিট ÷ 360 ডিগ্রি} 4 মিনিট। আমরা আরও জানি যে, পৃথিবী পশ্চিম
থেকে পূর্ব দিকে ঘুরছে। এই কারণে পূর্ব দিকের স্থানগুলোতে আগে দিন হচ্ছে এবং পশ্চিম
দিকের স্থানগুলোতে পরে দিন হচ্ছে। অতএব আমরা বলতে পারি আমাদের দেশ থেকে যেসব দেশ পূর্বদিকে
অবস্থিত সেসব দেশে আগে সকাল হবে এবং যেসব দেশ পশ্চিম দিকে অবস্থিত সেসব দেশে পরে সকাল
হবে। প্রতি ডিগ্রি দূরত্বের জন্য সময়ের ব্যবধান হচ্ছে 4 মিনিট। এ প্রতি ডিগ্রিকে আমরা
যদি 60 মিনিটে ভাগ করি তাহলে প্রতি। মিনিট দূরত্বের জন্য 4 সেকেন্ড সময়ের পার্থক্য
হবে।দূরত্বের মিনিট হচ্ছে প্রতি 1 ডিগ্রিকে ভাগ করে 60 মিনিটে ভাগ করা হয়। এই দূরত্বের
60 মিনিটের প্রতি মিনিটের জন্য সময়ের 4 সেকেন্ড লাগে। এভাবে দূরত্বের ব্যবধানের 1 ঘণ্টার
জন্য লাগে 60 × 4 = 240 সেকেন্ড বা 4 মিনিট। এই কারণে স্থানভেদে সময়ের তারতম্য হয়ে
থাকে। সুতরাং, বলা যায়, দ্রাঘিমার কারণে স্থানভেদে সময়ের পার্থক্য হয়ে থাকে।
প্রশ্ন ৪।
আমরা সময় কিভাবে নির্ণয় করি- ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: আমরা জানি,
মূল মধ্যরেখা অর্থাৎ ০°দ্রাঘিমা গ্রিনিচের উপর দিয়ে গেছে। এ কারণে পৃথিবীর যেকোনো স্থানের
সময় গ্রিনিচের সময়ের সঙ্গে তুলনা করে নির্ণয় করা যায়। যে কোনো রেখার চারদিক ঘুরে একটা
বৃত্ত সম্পূর্ণ করে যদি আমরা আবার শুরুর বিন্দুতে ফিরে আসি তাহলে বৃত্তের মোট কোণের
পরিমাণ হবে 180°+ 180° = 360°। দ্রাঘিমার ক্ষেত্রেও পূর্ব ও পশ্চিমে 180° করে মোট কোণ
হয় 360°। একদিনে যেহেতু মোট 24 ঘণ্টা তাই প্রতি (360 ÷ 24) 15° দ্রাঘিমা অতিক্রম করলে
ঘড়ির সময়ের 1 ঘণ্টা করে পরিবর্তন হয়। মূল মধ্যরেখা থেকে পূর্বদিকে গেলে ঘড়ির সময় বাড়তে
থাকে এবং পশ্চিমে গেলে ঘড়ির সময় কমতে থাকে। দ্রাঘিমা রেখার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পৃথিবীকে
বেশ কয়েকটি সময় জোনে বিভক্ত করা হয়। বাংলাদেশের দ্রাঘিমাংশ 90° হওয়ার কারণে গ্রিনিচের
ঘড়ির সময় থেকে 6 ঘণ্টা এগিয়ে আছে। অর্থাৎ গ্রিনিচে যখন দুপুর 12টা তখন বাংলাদেশে সময়
হবে সন্ধ্যা 6 টা। এভাবেই আমরা দ্রাঘিমা রেখা ব্যবহার করে সময় নির্ধারণ করি।
প্রশ্ন ৫।
পরিবেশ রক্ষায় মানুষের ভূমিকা আলোচনা কর।
উত্তর: পরিবেশ রক্ষায়
মানুষের ভূমিকা নিম্নে আলোচনা করা হলো-
বিভিন্ন ভৌগোলিক অঞ্চলে
পরিবেশগত সমস্যা বিভিন্ন রকমের হয়। এই সমস্যাগুলো তৈরি এবং সমাধানে উভয় ক্ষেত্রেই মানুষ
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মেরু ও তুন্দ্রা অঞ্চলের বরফ গলে যাওয়ার কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের
উচ্চতা বেড়ে যাচ্ছে। এসব অঞ্চলে মানুষ বন নিধন রোধ করে টেকসই উন্নয়নের মাধ্যমে এবং
গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমন কমানোর মাধ্যমে পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে
পারে। টেকসই কৃষি ব্যবস্থা এবং সংরক্ষণ নীতির মাধ্যমে মানুষ মাটি ক্ষয়রোধ করতে পারবে
যার ফলে জীববৈচিত্র্য নতুন রূপ ধারণ করবে। বনজ সম্পদ আহরণ কমানো, সংরক্ষণ এবং টেকসই
বনব্যবস্থাপনা চর্চার মাধ্যমে মানুষ বন রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে যার
ফলে কার্বন নিঃসরণ এবং তাপমাত্রা রক্ষায় সাম্যতা বজায় থাকবে। অতএব বলা যায় যে, টেকসই
উন্নয়ন অনুশীলন এবং সংরক্ষণ প্রচেষ্টার মাধ্যমে পরিবেশগত সমস্যাগুলো মোকাবেলায় মানুষের
ভূমিকা রয়েছে। তাই আমাদের উচিত পরিবেশের উপর মানুষের বিভিন্ন ক্ষতিকর প্রভাব শনাক্ত
করে সেগুলো সমাধানের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর পরিবেশ সংরক্ষণ করা।
প্রশ্ন ৬।
চিরহরিৎ বন বলতে কী বুঝায়?
উত্তর: চিরহরিৎ বন
হচ্ছে ঘন বনাঞ্চল যেগুলো সারা বছর- এমনকি শুষ্ক আবহাওয়াতেও সবুজ থাকে। যে সকল এলাকায়
তাপমাত্রা এবং বৃষ্টিপাত তুলনামূলকভাবে বেশি সেসব অঞ্চলে, বিশেষ করে বিষুবীয় ও ক্রান্তীয়
অঞ্চলে এমন বন দেখতে পাওয়া যায়। এই বনাঞ্চলে গাছপালার ঘনত্ব এত বেশি থাকে যে খুব
সামান্য সূর্যালোক
বনের মাটি পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। সাধারণত এই বনের উদ্ভিদের পাতাগুলো সবুজ এবং বড়ো আকারের
হয়, যেগুলো প্রচুর সূর্যালোক শোষণ করতে পারে। এছাড়া এসব উদ্ভিদের মূল মাটি থেকে পানির
সঙ্গে প্রচুর পুষ্টিও শোষণ করতে পারে। বিভিন্ন ভৌগোলিক অঞ্চলের মধ্যে চিরহরিৎ বনে সবচাইতে
বেশি ধরনের উদ্ভিদ ও প্রাণীর প্রজাতি বসবাস করে। ইন্দোনেশিয়ার বনাঞ্চল, আফ্রিকার কঙ্গো
বনাঞ্চল, দক্ষিণ আমেরিকার অ্যামাজন ইত্যাদি হচ্ছে চিরহরিৎ বন। অনেক সবুজ গাছপালা থাকার
কারণে এই বনগুলো বায়ুমণ্ডল থেকে প্রচুর কার্বন ডাইঅক্সাইড শোষণ করে এবং অক্সিজেন ছেড়ে
দেয়। বিভিন্ন প্রকার বানর, স্লথ, জাগুয়ার, সাপ, পাখি প্রভৃতি এই বনে পাওয়া যায়। উদ্ভিদের
মাঝে রয়েছে ফার্ন, এপিফাইট, লোহিত সিডার, সাইকাড, নীল, স্পুস ইত্যাদি।
প্রশ্ন ৭।
১৮০°দ্রাঘিমা রেখাকে আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা বলা হয় কেন?
উত্তর: ১৮০°দ্রাঘিমারেখাকে
অনুসরণ করে আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা আঁকা হয়েছে। মূলত প্রশান্ত মহাসাগরের উপর মানচিত্রে
১৮০°দ্রাঘিমারেখাকে অনুসরণ করে যে রেখা কল্পনা করা হয় তাকে আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা
বলে। এ কারণে ১৮০°দ্রাঘিমা রেখাকে আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা বলা হয়।
প্রশ্ন ৮।
আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা আঁকাবাঁকা টানা হয়েছে কেন? ব্যাখ্য কর।
উত্তর: সময় এবং বারের
অসুবিধা দূর করার জন্য তারিখ বিভাজনকারী রেখা আঁকাবাঁকা হয়। আন্তর্জাতিক তারিখ রেখাকে
কোথাও কোথাও বাঁকিয়ে দেওয়া হয়েছে। কারণ এ রেখাকে ১৮০°দ্রাঘিমারেখা অনুসরণ করে প্রশান্ত
মহাসাগরের উপর দিয়ে টানা হলেও সাইবেরিয়ায় উত্তর-পূর্বাংশ এবং অ্যালিউসিয়ান, ফিজি এবং
চ্যাথাম দ্বীপপুঞ্জের স্থলভাগকে এড়িয়ে চলার জন্য এই রেখাটিকে অ্যালিউসিয়ান দ্বীপপুঞ্জের
কাছে এবং ফিজি ও চ্যাথাম দ্বীপপুঞ্জে, ১১°পূর্ব দিয়ে বেঁকে এবং বেরিং প্রণালিতে ১২০
পূর্বে বেঁকে শুধু পানির উপর দিয়ে টানা হয়েছে। তা না হলে স্থানীয় অধিবাসীদের বার নির্ণয়
করতে অসুবিধা হতো। কারণ একই স্থানের মধ্যেই সময় এবং বার দুই রকম হতো।
প্রশ্ন ৯।
বিষুবরেখাতে সূর্য কেন লম্বভাবে কিরণ দেয়?
উত্তর: উত্তর মেরু
ও দক্ষিণ মেরু থেকে সমান দূরত্বে পৃথিবীকে পূর্ব-পশ্চিমে বেষ্টন করে একটি রেখা কল্পনা
করা হয়েছে। এ রেখাকে বিষুবরেখা বলে। বিষুবরেখা নিরক্ষরেখা, নিরক্ষবৃত্ত, মহাবৃত্ত,
গুরুবৃত্ত প্রভৃতি নামে পরিচিত। এই রেখার কাছ দিয়ে সারাবছর সূর্য চলাচল করে যার কারণে
বিষুবরেখাতে সূর্য সারাবছর খাড়াভাবে বা লম্বভাবে কিরণ দেয় সূর্যের নিকটে থাকার কারণে।
Best questions sir Thank you so much🥹🥹🥹
উত্তরমুছুন