বৃহস্পতিবার, ১৪ জুন, ২০১৮

আকর্ষনীয় ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্য


আমরা সবাই আকর্ষনীয় হতে চাই। ব্যক্তিত্বশীল হতে চাই। চাই সবার মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু হতে। চাই সবাইকে আকৃষ্ট করতে। নিজেকে অসাধারণ হিসেবে উপস্থাপনের জন্য অবশ্যই আমাদের জানা উচিত ঠিক কি কি বৈশিষ্ট্য একজন ব্যক্তিকে আকর্ষনীয় ও অসাধারণ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে। আমি নিজে যে যে বৈশিষ্ট্যগুলো একজন অসাধারণ মানুষের মাঝে দেখতে চাই তার একটা তালিকা নিচে দিলাম।

১. আত্মনিয়ণ্ত্রিত: একজন আকর্ষনীয় ব্যক্তিকে অবশ্যই আত্মনিয়ন্ত্রিত হতে হবে। সে তার আবেগ কে প্রধান্য দিবেনা। সে সর্বদা তার মস্তিষ্ক দ্বারা চালিত হবে। কাজের ক্ষেত্রে বাস্তবতা আর যৌক্তিকতার প্রাধাণ্য থাকবে। সে কখনই আবেগ দিয়ে চালিত হবেনা। নিজের লক্ষ্য ও সিদ্ধান্ত নির্বাচনের ক্ষেত্রে বিবেক, বুদ্ধি, যুক্তি আর বাস্তবতাকে সর্বদা বিবেচনা করবে।

২. স্ব-অনুপ্রাণিত: সে কাজ করতে করতে হঠাৎ হতোদ্যম হবেনা। ব্যর্থ হলেও হতাশ হয়ে পড়বেনা। সে সর্বদা নিজেই নিজেকে অনুপ্রাণিত করবে। সে তার ব্যর্থতা থেকে, পরাজয় থেকে শিক্ষা নিবে। এবং সেই শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যতে সফল হবার জন্য আবার কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করবে।

৩. সময়নিষ্ঠতা: একজন আকর্ষনীয় ব্যক্তি জানে সময়ের মূল্য এবং গুরুত্ব কতটা। তাই সে সর্বদা সময়নিষ্ঠ থাকে। সে কখনই তার সাক্ষাতের সময় বা অনুষ্ঠানে বা কাজে দেরি করেনা। সে কোথাও পৌছাতে গেলে রাস্তার কথা বা পরিবেশের কথা মাথায় রেখে বেরোয়। তাই যানজট, ঘুম থেকে উঠতে না পারা বা অন্য কোনো কিছুর অযুহাত তৈরি করেনা। সে সর্বদা সময়ের কাজ সময়ে করে। কাজ পরে করবে বলে ফেলে রাখেনা।

শনিবার, ১২ মে, ২০১৮

জীবন্ত জীবাশ্ম কী?


ছোটবেলায় “জীবন্ত জীবাশ্ম” শব্দটি আমাকে ভীষণ ঝামেলায় ফেলেছে। কারণ জীবাশ্ম বলতে না হয় মৃত জীব-জন্তুর হাড়-গোড়  বুঝায় বুঝলাম, কিন্তু জীবন্ত জীবাশ্ম আবার কিরে বাবা? একটি নড়া-চড়া করা, হেটে-চলে বেড়ানো হাড়-গোড়? অনেক ভেবেও এবং অনেকের কাছে জিজ্ঞেস করেও কোনো সদুত্তর পাইনি। পেয়েছিলাম বহু পর সম্ভবত উচ্চমাধ্যমিকের জীববিজ্ঞান পড়তে গিয়ে। যারা আমার মত বিড়ম্বনায় পড়েছেন বা পড়েন নি তাদের জন্য আজ বলতে চাইছি জীবন্ত জীবাশ্ম কাকে বলে।

জীবাশ্ম কাকে বলে তাতো আপনারা জানেনই। গত পোস্টে এটা নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। জীবাশ্ম বলতে বোঝায় এমন কোনো ছাপ বা চিহ্ন বা দেহাংশ যা কালের বিবর্তনে পাথরে পরিণত হয়ে গেছে, যা সাক্ষ্য দিচ্ছে এখানে একটি জীব ছিল এবং যাকে পরীক্ষা করে আমরা জীবটির বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য নির্ধারণ করতে পারি তাকে জীবাশ্ম বলে।

আমারা জানি আমাদের পৃথিবীর এই বিচিত্র, বিপুল এবং বৈচিত্রময় জীবকূল আসলে উদ্ভূত হয়েছে তার পূর্ববর্তী জীবসম্প্রদায় থেকে প্রকৃতির নির্বচনের মাধ্যমে। সহজ কথায় যাকে আমরা বিবর্তন বলে জানি। পৃথিবীতে উদ্ভূত হওয়া জীবগোষ্ঠীর একটা বিশাল অংশ আবার বিলুপ্ত হয়ে গেছে। যাদের অস্তিত্ব আমরা ফসিলের মাধ্যমে জানতে পারি। কিন্তু তাদের বৈশিষ্ট্য, শরীরতত্ব, জীবনাচার প্রভৃতি বিষয়গুলো আসলে ফসিলের থেকে পাওয়া দুষ্কর এবং ক্ষেত্র বিশেষে প্রায় অসম্ভব। সেই সকল হারিয়ে যাওয়া বিলুপ্ত প্রাণীদের সম্পর্কে জানার সবথেকে ভালো উপায় এমন সকল প্রানীদের সম্পর্কে জানা যাদের উৎপত্তি হয়েছে সেই বিলুপ্ত প্রাণী সাথে কিন্তু তারা বর্তমানেও অপরিবর্তিত বা সামান্য পরিবর্তিত হয়ে পৃথিবীতে এখনো টিকে আছে। তাহলে টিকে থাকা প্রাণীদের সম্পর্কে জানলে বিলুপ্ত প্রাণীর সম্পর্কেও অনেক তথ্য জানতে পারি। এই টিকে থাকে প্র্রাণীটিকে বলা হয় জীবন্ত জীবাশ্ম।

যেমন ধরুন শিমপাঞ্জির এবং মানুষের উৎপত্তি এবং গঠন প্রায় কাছাকাছি। তাই শিমপাঞ্জি সম্পর্কে জানলে মানুষ সম্পর্কে অনেকটা জানা যায়। এখন কেনো প্রাকৃতিক বিপর্যয় বা অন্য কোনো কারণে মানুষ বিলুপ্ত হয়ে গেল এবং শিমপাঞ্জি টিকে থাকল কোনো পরিবর্তন ছাড়াই বা সামান্য পরিবর্তন সহ। এবার কয়েক লক্ষ বা কোটি বছর পর অন্য কোনো বুদ্ধিমান প্রাণী মানুষের একটি ফসিল পেল। তাহলে সে মানুষ সম্পর্কে সবথেকে ভালোভাবে জানতে পারবে একটি শিমপাঞ্জিকে গবেষণা করে। তখন শিমপাঞ্জিটি হবে তাদের জীবন্ত জীবাশ্ম। প্রকৃতিতে আমরা এমন অনেক জীবন্ত জীবাশ্ম পাই যারা লক্ষ লক্ষ বছর ধরে কোনো বিবর্তন ছাড়াই পিৃথিবীতে টিকে আছে। সবথেকে পরিচিত লিভিং ফসিল বা জীবন্ত জীবাশ্ম হল কুমির যা প্রায় আট কোটি পঁয়ত্রিশ লক্ষ্ বছর পূর্বে আবির্ভূত হয়ে এখন পর্যন্ত প্রয় অপরিবর্তিত হয়ে পৃথিবীতে টিকে আছে। এদের জীবনাচার থেকে বিজ্ঞানীরা সে সময়কালের অন্যান্য সরীসৃপদের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে ধারণা পান।

সোমবার, ৭ মে, ২০১৮

তোমরা যারা ভালো রেজাল্ট করনি..


গতকাল এস.এস.সি. পরীক্ষার রেজাল্ট দিয়েছে। অনেকেই আকাঙ্খিত রেজাল্ট করেছ আবার অনেকেই করনি। আমার লেখাটা তাদের জন্য যারা আকাঙ্খিত ফল লাভ করনি। কিছু অপ্রিয় বাস্তবতা তুলে ধরতেই আমার এ লেখা। যদিও সকলই লেখা পড়তে পারবে।

যারা খারাপ করেছ, তোমাদেরকে কোনো মোটিভেশনাল কথা আমি বলছিনা। আইনস্টাইনের গণিতে ফেল করা বা মার্ক জুকারবার্গ অথবা বিল গেটসের বিশ্ববিদ্যালয়ের ড্রপ আউটের কাহিনীও শুনাচ্ছিনা।আমি তোমাদেরকে এই পরীক্ষার ফল থেকে পরবর্তী জীবনের জন্য একটা শিক্ষা নিতে বলছি। শিক্ষাটা হচ্ছে বাস্তবতাকে মেনে নেয়া। অন্য কথায় বলা যায় অবসম্ভাবিকে মেনে নেয়া। যা ঘটে গেছে বা যা ঘটার উপর তোমার কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই তাকে মেনে নিতে শেখ। মনেকর তুমি পরীক্ষায় খারাপ ফল করেছ। তাহলে এটাকে মেনে নাও। এই ফলের উপর এখন তোমার কোনো হাত নেই। যতই কান্না-কাটি কর, মনখারাপ করে থাক, কর্তৃপক্ষকে গালাগালি কর, দোষ দাও, অনুশচনা বা হতাশায় ভোগ তোমার ফল তুমি পরিবর্তন করতে পারবেনা। তাই এটাকে মেনে নিতে শেখ। এটা জীবন পথে চলার জন্য খুব বড় একটা শিক্ষা। সারা জীবনে এমন বহু ঘটনা ঘটবে যার উপর তোমার নিয়ন্ত্রণ থাকবেনা। তোমার বাবা-মা বা ভালোবাসার কেউ মারা যেতে পারে, চাকরি  চলে যেতে পারে, সংসার ভেঙে যেতে পারে, ব্যবসায় লস করে আর্থিক দুর্গতি হতে পারে, ঝড়ে বাড়ি-ঘর ভেঙে যেতে পারে, দুর্ঘটনায় শরীরের কোনো অঙ্গহানি ঘটতে পারে বা অন্য কিছু। তোমাকে এসব মেনে নিতেই হবে। না নিয়ে সুষ্ঠুভাবে, সুন্দর ও সুখীভাবে জীবন পথ পাড়ি দিতে পারবেনা। তাই তোমার পরীক্ষার ফল থেকে শিক্ষা নিতে বলি। যা অবসম্ভাবি, বাস্তব তাকে মেনে নিতে হবে।

দ্বিতীয় যে শিক্ষাটা নিতে বলি তা হল ক্ষতি কমানো। অর্থাৎ বাস্ববতাকে যখন মেনে নিবে তখন তোমার পরবর্তী কাজ হবে ক্ষতি কমনো। পরীক্ষায় ভালো না করে মনখারাপ করে থাকলে তোমার শরীরের রাসায়নিক পরিবর্তন হবে। বদহজম হবে, ঘুম হবেনা ভালোকরে, হৃদরোগ হবে, চেহারার লাবণ্য নষ্ট হবে। বাবা-মা, আত্মীয়-স্বজন যারা তোমাকে ভালোবাসেন তারা কষ্ট পাবে। তোমার বন্ধুটিও কষ্ট পাবে। এত কিন্তু তোমার পরীক্ষার ফল ভালো হয়ে যাবেনা। তার থেকে ক্ষতি আরো বাড়বে। তাই বলি এবার ক্ষতি কমও। ভাব, কেন এমন হল। কি জন্য তোমার রেজাল্ট খারাপ হল। তুমি পড়ালেখার তুলনায় সামাজিক মাধ্যমে কি বেশি ব্যস্ত ছিলে? বন্ধুদের সাথে আড্ডাটা কি একটু বেশীই দিয়ে ফেলেছিলে? পড়ালেখা বাদে অন্যদিকে মনোযোগ কি একটু বেশীই ছিল? তোমার আত্মবিশ্বাস কি একটু অতিরিক্ত ছিল? তুমি পড়ালেখার সময় অন্য কাজে ব্যস্ত ছিলে? নাকি তুমি তোমার পড়া কম বুঝ? সায়েন্সের সাবজেক্টের পড়া মাথায় ঢোকেনা। এগুলো ভেবে বের কর। তারপর সিদ্ধন্ত নাও। এ কাজ গুলো আর করবেনা। যেন পরবর্তীতে আর অনুশুচনা না করতে হয়। পরবর্তী দুই বছরের মধ্যে তুমি আরো একটা পাবলিক পরীক্ষার মুখোমুখি হবে। মনে মনে প্রতিজ্ঞা কর, যেন সেই পরীক্ষার পর হাসি মুখে সবাইকে তার ফল জানাতে পার। ভবিষ্যৎ জীবনেও এই শিক্ষাটা খুব গুরুত্বপূর্ন। ব্যবসায় লস করলে তা নিয়ে হতাশ হওয়া যাবেনা। বরং তা মেনে নিয়ে খাতা নিয়ে বসতে হবে। কেন লস হল? কি কি ভাবে সেই লস কাটিয়ে ওঠা যায়। কিভাবে নতুন করে বিনিয়োগ করে লাভ করা যায়। এরকম সব ক্ষেত্রে চেষ্টা করতে হবে।

সব শেষে বলি, তোমার জীবন মাত্র শুরু। তুমি জানোনা ভবিষ্যতে তুমি ঠিক কোন অবস্থায় থাকবে। সেটা তোমার বর্তমান কাজই ঠিক করবে কোথায় যাবে তুমি। তাই হতাশ না হয়ে কাজ করো। দেথবে সফলতা আসবেই।

বুধবার, ২ মে, ২০১৮

জ্বালানী বিহীন ইঞ্জিন- সম্ভাব্যতার একটি বৈজ্ঞানিক পর্যালোচনা

বলতে গেলে আমাদের বর্তমান মানব সভ্যতা একক ভাবে যে বিষয়টির উপর নির্ভরশীল তার নাম বিদ্যুৎ। বিদ্যুৎ ছাড়া আমাদের জীবন-সভ্যতা বলতে গেলে স্থবির। তাই বিদ্যুৎ উৎপাদন বর্তমান বিশ্বে সর্বধিক গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোর মধ্যে একটি। সমগ্রবিশ্বে কিভাবে সহজ উপায়ে, পরিবেশ বান্ধব ভাবে, সল্প বিনিয়োগে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায় তা নিয়ে বিপুল পরিমাণে গবেষণা হচ্ছে। তাই বিদ্যুৎ উৎপাদনের নতুন প্রযুক্তির খবর সব সময়ই সকলের মনোযোগ কাড়ে, মিডিয়া কাভারেজ বেশি পায়। তাই এই মিডিয়ার মাধ্যমে আমরা মাঝে মাঝেই জ্বালানী বিহীন বিদ্যুৎ উৎপাদনের খবর জানতে পারি। কিছু দিন পর পরই আমারা প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মাধ্যমে শুনতে পাই বাংলাদেশের কোন রহিম, করিম নামের গ্রামের এক ব্যক্তি এমন ইঞ্জিন আবিস্কার করেছে যা জ্বালানী ছাড়াই চলবে।তা দিয়ে নাকি বিদ্যুৎও উৎপাদন করা যাবে। আাবার শুনি পানি দিয়ে ইঞ্জিন তৈরী করে তা দিয়ে মোটর সাইকেল বা গাড়ি তৈরী করেছে কোনো এক স্বশিক্ষিত উদ্ভাবক। আমাদের বেকুব ও হিটখোর সাংবদিক, ক্ষেত্র বিশেষে কেনো কেনো প্রতিষ্ঠিত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া এ বক্তব্য গুলোকে সত্য বলে ধরে নিয়ে, এর পেছনের কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে কিনা বা এর পেছনের তত্ব কি তা যাচাই-বাছাই না করে প্রচার করা শুরু করে। এতে বিভ্রান্ত হয়ে আমাদের সাধারণ জনগণ ও ফেসবুক ব্যবহারকারীগণ তা শেয়ারে শেয়ারে ভরিয়ে ফেলেন। অনেকে তো অর্থ সাহায্য কামনা করেন গবেষণা চালিয়ে নিয়ে যাবার জন্য। কিছুদিন আগে আমার কোনো এক ফেসবুক বন্ধুর শেয়ার করা পোস্টে দেখলাম জনৈক শরীফুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি সাত বছর যাবত গবেষণা করে এবং সাড়ে তিনশত বার ব্যর্থ হয়ে অবশেষে জ্বালানী বিহীন সংয়ক্রিয় ইঞ্জিন আবিস্কার করতে সক্ষম হয়েছেন বলে দাবি করেছেন। তার কাজ আরো ভালোভাবে করার জন্য এবং চিনে গিয়ে প্রকল্প গ্রহণ করার জন্য তিনি প্রধানমণ্ত্রীর সহায়তা কামনা করছেন। তার এই পোস্টটি ফেসবুকে একুশহাজার ছয়শ বারের বেশী শেয়ার হয়েছে এবং চৌদ্দ হাজার জনের বেশী লাইক দিয়েছেন। তাই জ্বালানী বিহীন ইঞ্জিন আবিস্কারের বাস্তবে সম্ভাব্যতা নিয়ে বিজ্ঞানের নগণ্য ছাত্র হিসেবে আমি আমার মতামত তুলে ধরছি এ লেখায়।

প্রথমত আমাদের জানতে হবে ইঞ্জিনের সাধারণ কাজ কি? খুব সহজভাবে বলতে গেলে বলতে হয় ইঞ্জিনের কাজ হল শক্তির রূপান্তর ঘটানো। অর্থাৎ ইঞ্জিন শক্তিকে এক রূপ থেকে অন্য রূপে পরিবর্তন করে। যেমন উদাহরণ হিসেবে বলতে পারি আমারা বাতাস পাই যে ফ্যানের মাধ্যমে তা বিদ্যুৎ শক্তিকে যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তর করে। বৈদ্যুতিক বাল্ব বিদ্যুৎ শক্তিকে আলোক ও তাপ শক্তিতে রূপান্তরিত করে। আমাদের দেহ খাদ্যের মধ্যে বিদ্যমান রাসায়নিক শক্তিকে তাপ শক্তিতে রূপান্তরিত করে। ঠিক তেমনি ভাবে কোনো গাড়ির ইঞ্জিন তাতে ব্যবহৃত জ্বালানীর মধ্যে বিদ্যমান রাসায়নিক শক্তিকে যান্ত্রিক শক্তিতে পরিণত করে। এখানে খেয়াল রাখতে হবে শক্তি কিন্তু কেও উৎপাদন করছে না। যা করছে তা হচ্ছে শক্তির রূপান্তর। মহাবিশ্বে যত শক্তি আছে সকল শক্তির পরিমাণ সমান। তা বাড়ছেও না আবার কমছেও না (ভরশক্তি উপেক্ষা করে মোটা দাগে)। শক্তির শুধু রূপের অন্তর হচ্ছে মাত্র। “শক্তির সৃষ্টি বা ধ্বংস নেই শুধু রূপান্তর আছে মাত্র”- পদার্থ বিজ্ঞানের অন্যতম মৌলিক সূত্রগুলোর মধ্যে এটা একটা।
তাহলে আমরা দেখলাম শক্তির কোনো সৃষ্টি বা ধ্বংস নেই, তার শুধু রূপের পরিবর্তন হয় মাত্র। আপনি যে কোনো যন্ত্র দেখেন না কেন সেখানে শুধু শক্তির পরিবর্তন ই দেখবেন। যে কোনো বিদ্যুৎ কেন্দ্র দেখেন। সেখানে দেখবেন হয় পানির বিভব শক্তি বা কয়লা বা পেট্রোলিয়াম তেলের রাসায়নিক শক্তি বা বায়ুর যান্ত্রিক শক্তি বা পরমাণুর নিউক্লিয়াসের শক্তিকে বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তর করা হচ্ছে। এই রূপান্তরেরও একটা ধরণ আছে। তা হচ্ছে এমন কোনো যন্ত্র এখন পর্যন্ত আবিস্কার হয়নি যা শতভাগ শক্তির রূপান্তর করতে পারে। অর্থাৎ কোনো যন্ত্রের ইনপুটে আপনি যে পরিমাণ শক্তি দিবেন আউটপুটে সে পরিমাণ শক্তি পাবেন না। কারণ যন্ত্রটি যখন কাজ করবে তার বেশ বড় একটা অংশ তাপ বা শব্দ বা অন্য কোনো শক্তি হিসেবে সে নষ্ট করবে। যেমন একটি সাধারণ ডিজেল ইঞ্জিনের কর্মদক্ষতা মাত্র 27%| অর্থাৎ আপনি একটি ডিজেল ইঞ্জিনে 100 কি.মি. চলার মত শক্তি দিলে তা মাত্র 27 কি.মি. যাবার মত শক্তি ব্যয় করবে আর বাকি অংশ তাপ ও শক্তি হিসেবে নষ্ট করবে। তাই আমারা দেখছি শতভাগ কর্ম দক্ষতার ইঞ্জিন এখন পর্যন্ত আবিস্কার করা যায়নি।
তাহলে আমরা দেখছি শক্তি উৎপাদন করা যায়না শুধু রূপান্তর করা যায়। আর কোনো যন্ত্রের মাধ্যমে শক্তির রূপান্তর ঘটাতে চাইলে শক্তির কিছু অংশ অপব্যায়িত হয়। সুতরাং যদি কোনো ইঞ্জিন বানাতে হয় তাহলে অবশ্যই তাতে শক্তির যোগান দিতে হবে অর্থাৎ তার জ্বালানী অবশ্যই লাগবে। যদি যন্ত্রটির মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়, তবে যন্ত্রটি যে পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপন্ন করবে তার থেকে বেশী শক্তি সে ব্যবহার করবে ঐ পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপন্ন করতে। সুতরাং আমরা বলতেপারি জ্বালানী বিহীন কোনো ইঞ্জিন আবিস্কার করা সম্ভব নয়। এটা অবান্তর এবং অলীক ভাবনা। কেউ যদি এ দাবি করে তবে বুঝতে হবে তার পদার্থ বিজ্ঞানের ন্যূনতম জ্ঞানও নেই।
শরীফুল ইসলামের পোস্টের লিংক
https://www.facebook.com/permalink.php?story_fbid=1116365521751896&id=10...

পিতা-মাতার বৈশিষ্ট্য কিভাবে সন্তানের শরীরে আসে?

আমরা যখন সবাই ছোট থেকে বড় হলাম অনেক অনেক নতুন বিষয়ের সাথে আমরা নিশ্চই আশ্চর্য হয়ে লক্ষ্য করেছিযে প্রায় সকল সন্তানই তার পিতা বা মাতার মত দেখেতে হয়। পিতা বা মাতার মত দেখতে না হলেও কোনো নিকটাত্মীয়, বিশেষ করে দাদা-দাদী বা নানা-নানীর মত দেখতে হয়। আমরা এটাও খেয়াল করেছি যে কোনো পিতা-মাতা ফর্সা হলে সন্তানও ফর্সা হয়, অথবা পিতা-মাতা কালো হলে সন্তানও কালো হয়।অর্থাৎ পিতা-মাতার বৈশিষ্ট্য সচরাচর সন্তান-সন্ততির মধ্যে প্রকাশিত হয়। পিতা-মাতার বৈশিষ্ট্য কি করে সন্তান-সন্ততির মধ্যে প্রকাশিত হচ্ছে তা নিয়ে আমাদের অনেকের মনেই নানাবিধ প্রশ্ন রয়েছে। নিচের আলোচনার মাধ্যমে আমরা এই প্রশ্নেরই উত্তর জানার চেষ্টা করব।

পিতা-মাতার বৈশিষ্ট্য যে প্রক্রিয়ায় সন্তান-সন্ততির শরীরে প্রবেশ করে তাকে বংশগতি বলে। আর পিতা-মাতার যে সকল বৈশিষ্ট্য সন্তান-সন্ততির শরীরে প্রবেশ করে সে সকল বৈশিষ্ট্যকে বংশগতির বৈশিষ্ট্য বলে। পিতার/মাতার গায়ের রঙ কালো হলে সন্তান কালো হবে বা রঙ ফর্সা হলে ফর্সা হবে, অথবা পিতা/মাতা রাগী হলে সন্তান রাগী হবে ইত্যাদি। এক্ষেত্রে গায়ের রঙ বা রাগ হচ্ছে বংশগতির বৈশিষ্ট্য। সুতরাং দেখাই যাচ্ছে, পিতা-মাতার বৈশিষ্ট্য আমাদের শরীরে কি ভাবে আসছে সেটা জানতে হলে আমাদের কে আগে জনতে হবে এই বৈশিষ্ট্য জিনিসটা আসলে কি? তার স্বরূপ কি? সে দেখতে কেমন? বা সে থাকে কোথায়? এই প্রশ্ন গুলোর উত্তর জানতে হলে আমাদেরকে আগে থেকে জীব দেহের গঠনের কয়েকটা সাধারণ ধারণা সম্পর্কে জেনে নিতে হবে।
 
জীবদেহের সাধারণ গঠন সম্পর্কে প্রথমে যে বিষয়টা আমাদের জানা জরুরী তা হল জীবদেহের রাসায়নিক গঠন। রাসায়নিক দিক দিয়ে আমাদের দেহ প্রোটিন দিয়ে গঠিত। আবার এই প্রোটিন গঠিত হয় অনেকগুলি অ্যামাইনো এসিডের সমন্বয়ে। আমাদের দেহের মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত সবকিছুই প্রোটিন দ্বারা গঠিত। এমন কি থুথু বা লালা সেটাও প্রোটিন দ্বারা গঠিত।বিভিন্ন প্রকার প্রোটিন মিলেই তৈরী হয় বিভিন্ন কোষীয় অঙ্গানু। এই বিভিন্ন প্রকার কোষীয় অঙ্গানু আবার একসাথে তৈরী করে কোষ। অনেক গুলো কোষ আবার একসাথে তৈরী করে টিস্যু বা কলা। অনেক গুলো কলা একসাথে তৈরী করে অঙ্গ। অনেক গুলো অঙ্গ একসাথে তৈরী করে তন্ত্র। অনেক গুলো তন্ত্র আবার একসাথে হয়ে তৈরী করে আমাদের দেহ। অর্থাৎ দেহের গাঠনিক একক গুলো পর্যায় ক্রমে সাজালে আমরা নিচের মত ক্রমবিন্যাস পাব-

তাহলে আমরা সরাসরি বলতে পারি প্রোটিনই হল আমাদের জীবদেহের রাসায়নিক ভিত্তি। এখানে উল্লেখ্য যে আমাদের শরীরের বিভিন্ন প্রকার অঙ্গ বিভিন্ন প্রোকার প্রেটিন দ্বারা গঠিত। এজন্যই আমাদের বিভিন্ন অঙ্গ বিভিন্ন রকম। আমাদের ত্বক, চোখ, ফুসফুস, কিডনী, যকৃত, অন্ত্র বিভিন্ন অংশের কোষ গুলো বিভিন্ন রকম। কারন তাদেরকে তৈরী করা প্রোটিন গুলো হচ্ছে বিভিন্ন করম। তাহলে আমরা বলতে পারি আমাদের দেহ বিভিন্ন প্রকার প্রোটিন দ্বারা গঠিত। আসলে আমাদের দেহের বিভিন্ন অংশ কয়েক হাজার প্রকার প্রোটিন দ্বারা গঠিত।এই সকল প্রকার প্রোটিন আবার মাত্র বাইশ প্রকার অ্যামাইনো এসিড দ্বারা গঠিত। ইংরেজি বর্ণমালার ছাব্বিশটি বর্ণ মিলিয়ে যেমন আমরা হাজার হাজার শব্দ তৈরী করতে পারি ঠিক তেমনি বাইশ প্রকার এমাইনো এসিড বিভিন্ন ভাবে, বিভিন্ন অনুপাতে, বিভিন্ন আঙ্গিকে যুক্ত হয়ে হাজার হাজার প্রোটিন তৈরী করতে পারে।

আমরা এত সময় দেখলাম অ্যামাইনো এসিড প্রোটিন তৈরী করে আর প্রোটিন আমাদের দেহ তৈরী করে। এখন স্বভাবতই প্রশ্ন আসে অ্যামাইনো এসিডকে কে তৈরী করে। আসলে অ্যামাইনো এসিডকে তৈরী করে রাইবো নিউক্লিক এসিড বলে এক ধরনের নিউক্লিক এসিড যাকে আমরা সংক্ষেপে RNA বলে ডাকি। তাহলে এখন আবার আমাদের মনে প্রশ্ন আসে রাইবো নিউক্লিক এসিডের উৎপত্তি কোথায় বা সে কি করে অ্যামাইনো এসিড বা প্রোটিন তৈরী করে। RNAর উৎপত্তি সম্পর্কে আমরা পরে আলোচনা করছি, আগে দেখে নিই RNA কি করে প্রোটিন তৈরী করে অর্থাৎ সে কি করে বোঝে কোন অ্যামাইনো এসিড উৎপন্ন করতে হবে বা কোন অঙ্গ কোন প্রোটিন দিয়ে তৈরী হবে। আসলে RNA এর কাছে একটা বই আছে। সেই বইতে ধারাবাহিক ভাবে সবকিছু লেখা আছে। অর্থাৎ কোন অঙ্গ কোন প্রোটিন দিয়ে তৈরী হবে, তা দেখতে কেমন হবে বা তার স্বভাব চরিত্র কেমন হবে সবই এই বইাতে কিছু বিশেষ রাসায়নিক কোডে লিখা আছে। এই বইটার নাম হচ্ছে ডিঅক্সিরাইবো নিউক্লিক এসিড, যাকে সংক্ষেপে DNAবলা হয়। RNA আসলে DNAর কাছে রাসায়নিক কোডিং পদ্ধতিতে লিখে রাখা কোড গুলোকে পড়তে পারে এবং তদনুযায়ী অ্যামাইনো এসিড তৈরী করে। ফলে তদনুযায়ী প্রোটিন এবং তার থেকে ক্রমান্বয়ে জীব দেহ তৈরী হয়।

তাহলে আমাদেরকে এখন RNA এবং DNAসম্পর্কে জানতে হবে। এর সাথে আমাদের দেহের উৎপত্তিরও হালকা একটা ধারণা আমাদের দরকার। RNA এবং DNAএর পূর্ণ রূপ আমরা জেনেছি। এরা থাকে কোষের অভ্যন্তরে।কোষ হচ্ছে আমাদের দেহের গাঠনিক এবং কার্যকরী একক।অসংখ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কোষ একটার পর একটা যুক্ত হয়ে তৈরী করে আমাদের দেহ।কোষ আবার অনেক গুলো কোষীয় অঙ্গানু দ্বারা গঠিত।কোষের মাঝে যে গাড় গোলাকার বস্তুটি দেখা যায় তাকে নিউক্লিয়াস বলে। নিউক্লিয়াসের মাঝে আঁকা বাঁকা প্যাঁচানো সূতার মত একটি অংশ দেখা যায় যোকে ক্রোমোসোম বলে। এই ক্রোমোসোমেই থাকে RNA এবং DNA।

DNAডানদিকে প্যাচানো লোহার সিড়ির মত গঠন বিশিষ্ট।সিড়ির ধাপগুলো তৈরী হয় চার প্রকার নাইট্রোজেন ক্ষারের ক্রমিক সংযুক্তির মাধ্যমে। নাইট্রোজেন ক্ষারের এই ক্রমিক সংযুক্তিকেই বলা হয় রাসায়নিক কোড। DNAএরকম হাজার হাজার রাসায়নিক কোডের সমন্বয়ে গঠিত।পরপর অবস্থিত ক্রোমিক কিছু কোড যা DNAএর একটা নির্দিষ্ট জায়গা জুড়ে অবস্থান করে তা আমাদের দেহের একটি সুনির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য বহন করে। এই সুনির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য বহন কারী ডি এ এর খণ্ডাংশকেই জিন বলে।যেহেতু জিনই আমাদের দেহের সুনির্দষ্ট বৈশিষ্ট্য বহন করে সেহেতু আমরা বলতে পারি আসলে আমাদের দেহের যে কোনো বৈশিষ্ট্যের রাসায়নি ভিত্তি হল জিন। তাহলে আমরা জানলাম বংশগতির বৈশিষ্ট্যের ভৌত ভিত্তি কি এবং তা কোথায় থাকে।

উপরে আমরা দেখছি জিন হচ্ছে কতকগুলো রাসায়নিক সংকেতের সমষ্টি যা DNAএর একটা নির্দিষ্ট স্থান জুড়ে অবস্থান করে।জিনে থাকা এই কোড গুলোতেই থাকে প্রোটিন তৈরীর ফর্মুলা। RNA এই প্রোটিন তৈরীর ফর্মুলা পড়তে পারে এবং সেই অনুসারে প্রোটিন তৈরী করে, যেই প্রোটিন আমাদের দেহ গঠন করে। DNA তে হাজার রকম জিন থাকে যাতে থাকে হাজার রকম প্রোটিন তৈরীর ফর্মুলা। যেই ফর্মুলা মাফিক RNA হাজার রকম প্রোটিন দ্বারা আমাদের এই দেহ গঠন করে।

আমরা একটু আগেই বলছিলাম আমাদের দেহ হাজার হাজার কোষ দ্বারা গঠিত। এই হাজার হাজার কোষ আবার মাত্র একটি কোষ হতেই বিভাজনের মাধ্যমে উৎপন্ন হয়েছে। এই একটি মাত্র কোষের নাম জাইগোট। জাইগোট নামক এই একটি মাত্র কোষই বিভাজত হয়ে ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন কোষের আমাদের এই দেহ তৈরী করেছে। প্রশ্ন জাগে জাইগোট কোষটি আবার কোথা থেকে সৃষ্টি হল। আসলে জাইগোট সৃষ্টি হয় দুটি জনন কোষের মিলনের ফলে। আমরা জানি মানুষ যৌন প্রজনন কারী জীব। যৌন প্রজননের সময় পিতার দেহ হতে শুক্রানু এবং মাতার দেহের ডিম্বানু মিলিত হয়ে জাইগোট তৈরী করে।পুংজনন কোষ অর্থাৎ শুক্রাণুতে থাকে পিতার DNAএবং স্ত্রী জনন কোষ অর্থাৎ ডিম্বানুতে থাকে মায়ের DNA। সুতরাং জাইগোটের DNAতে পিতা এবং মাতা উভয়ের DNAথাকবে।এই DNAতে থাকবে উভয়ের জিন।সুতরাং উভয়ের জিনের বৈশিষ্ট্য মিলে জাইগোট থেকে ক্রমান্বয়ে বিভাজনের মাধ্যমে সন্তানের সৃষ্টি হবে যাতে থাকবে পিতা মাতা উভয়ের বৈশিষ্ট্য।

বরফ পানিতে ভাসে কেন?

আসলে ঘনত্বের তারতম্যের জন্য এটা হয়। ঘনত্ব হচ্ছে প্রতি একক আয়তনে উপস্থিত পদার্থের পরিমাণ।

যে বস্তুর ঘনত্ব যত কম, সে বস্তুটি তত হালকা হয়। এখন, প্রত্যেক পানির অনুতে দুটি হাইড্রোজেন পরমাণু একটা অক্সিজেন পরমাণুর সাথে বন্ধন গঠন করে থাকে। আবার একটি হাইড্রোজেন পরমাণু নিজ নিজ অক্সিজেন পরমাণুর সাথে যুক্ত থাকার পাশাপাশি অন্য পানির অনুর অক্সিজেন পরমাণুর প্রতিও অকৃষ্ট হয়। যা হাইড্রোজেন বন্ধন সৃষ্টি করে।

তরল অবস্থায় হাইড্রোজেন বন্ধন বেশ দুর্বল থাকে। যা প্রতিনিয়ত ভাঙে ও নতুন করে সৃষ্টি হয়। ফলে অণুগুলো এলোমেলো ভাবে বিন্যস্ত হয়, যার মাঝে খুব বেশি ফাঁকা জায়গা থাকে না।

কিন্তু তাপমাত্রা যখন 4 ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে যায় এবং বরফ জমতে শুরু করে, হাইড্রোজেন বন্ধন শক্তিশালী হতে শুরু করে এবং পানির অণু একটি স্থিতিশীল ষড়ভূজাকার গঠন সৃষ্টি করে যাতে অনেক ফাঁকা জায়গা থাকে। এই অতিরিক্ত ফাঁকা জায়গার কারণে বরফ পানির তুলনায় কম ঘনত্বের বা হলকা হয়। যার কারণে বরফ পানিতে ভাসতে পারে।

নবম শ্রেণি: বিজ্ঞান বই: নবম অধ্যায়: জৈব অণু অধ্যায়ের নোট (পর্ব:০১)

জৈব অণু অধ্যায়ের মূলকথা সজীব কোষ অসংখ্য অণু দিয়ে গঠিত। এই অণুগুলোর মধ্যে রয়েছে ক্ষুদ্র অণু এবং বৃহৎ অণু যেগুলো একত্রে জৈব অণু বলে পরিচিত। ...