রবিবার, ১৭ মার্চ, ২০২৪

সূর্য, পৃথিবী ও চাঁদ অধ্যায়ের নোট

অষ্টম শ্রেণি

বিজ্ঞান : অনুসন্ধানী পাঠ (সপ্তম অধ্যায়)

সূর্য, পৃথিবী ও চাঁদ

2024 সালের নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান বইয়ের একাদশ অধ্যায় এর নোট দেওয়া হলো। শিক্ষার্থীরা অনুশীলন করলে উপকৃত হবে আশাকরি। 

পাঠ্যবইয়ের বিষয়বস্তু সংশ্লিষ্ট প্রশ্ন উত্তর

প্রশ্ন ১: এটা কি কখনো সম্ভব, যেকোনো একটি সূর্যগ্রহণের সময় একই সঙ্গে পৃথিবীর কোনো স্থানে পূর্ণগ্রাস, কোনো স্থানে আংশিক আবার কোনো স্থানে বলয় সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে?

উত্তর: যেকোনো একটি সূর্যগ্রহণের সময় একই সঙ্গে পৃথিবীর কোনো স্থানে পূর্ণগ্রাস, কোনো স্থানে আংশিক আবার কোনো স্থানে বলয় সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে না। এর কারণ প্রতিটি গ্রহণের সময় পৃথিবী, সূর্য ও চাঁদের অবস্থান একই হবে না। যখন, সূর্য চাঁদের দ্বারা সম্পূর্ণ ঢেকে যায় তবে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ সংঘটিত হয়। চাঁদ পৃথিবীকে উপবৃত্তাকার পথে পরিভ্রমণ করার সময় যখন পৃথিবীর কাছাকাছি অবস্থান করে তখন পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ হয়ে থাকে।

আংশিক সূর্যগ্রহণে পৃথিবী ও সূর্যের মাঝামাঝি অবস্থানকালে চাঁদ যদি খানিকটা অংশ ঢেকে ফেলে তখন আংশিক সূর্যগ্রহণ দেখা যায়। বলয় সূর্যগ্রহণে চাঁদ এমন অবস্থানে থাকে যে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের সময় সেটি সম্পূর্ণ সূর্যগ্রহণকে ঢেকে রাখতে পারে না। তখন চাঁদের চারপাশে সূর্যকে আংটির মতো দেখায়। এ ধরনের সূর্যগ্রহণ বলয় সূর্যগ্রহণ।

যদিও একই সাথে তিন ধরনের সূর্যগ্রহণ দেখা সম্ভব নয়, তথাপি পৃথিবীপৃষ্ঠের বক্রতা, চাঁদ-সূর্যের অবস্থান প্রভৃতি বিষয় সাপেক্ষে খুবই দুর্লভ ক্ষেত্রে একটি সূর্যগ্রহেণর সময় একই সঙ্গে পৃথিবীর কোনো স্থানে পূর্ণগ্রাস, কোনো স্থানে আংশিক আবার কোনো স্থানে বলয় সূর্যগ্রহণ দেখা যেতে পারে।

প্রশ্ন ২: পৃথিবীর কক্ষপথ সবচেয়ে বেশি উপবৃত্তাকার হওয়া, পৃথিবীর অক্ষের অগ্রগতি এবং পৃথিবীর অক্ষের তির্যকভাবে হ্রাস-বৃদ্ধি, এ তিনটি পরিবর্তনের মাঝে কোনটি জলবায়ুকে বেশি প্রভাবিত করবে এবং কেন?

উত্তর: পৃথিবীর কক্ষপথ সবচেয়ে বেশি উপবৃত্তাকার হওয়া, পৃথিবীর অক্ষের অগ্রগতি এবং পৃথিবীর অক্ষের তির্যকভাবে হ্রাস-বৃদ্ধি, এ তিনটি পরিবর্তনের মধ্যে জলবায়ুকে বেশি প্রভাবিত করবে- পৃথিবীর কক্ষপথ সবচেয়ে বেশি উপবৃত্তাকার হওয়া। উত্তরের সপক্ষে যুক্তি নিচে তুলে ধরা হলো:

পৃথিবীর অক্ষ 26 হাজার বছরে একবার ঘুরে আসে। অক্ষটি বর্তমানে 23.5° হেলানো আছে। এটি প্রতি 41 হাজার বছরে 22.1° থেকে 24.5° এর মাঝে পরিবর্তিত হয়। পৃথিবীর অক্ষের তির্যকতা খুব ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হয়। এই মুহূর্তে পৃথিবীর তির্যকতা 23.5° কিন্তু এটি খুব ধীরে ধীরে কমছে। প্রায় 41,000 বছরের একটি চক্রে পৃথিবীর তির্যকতা 22.1° থেকে 24.5° এর মাঝে পরিবর্তিত হয়। অপরদিকে পৃথিবীর কক্ষপথ উপবৃত্তাকার বলা হলেও বর্তমানে এটি আসলে প্রায় বৃত্তাকার। তবে এই কক্ষপথের আকৃতি সমসময় একই রকম থাকে না। প্রতি 90 থেকে 100 হাজার বছরে পৃথিবীর কক্ষপথ প্রায় বৃত্তাকার আকৃতির মাঝে পরিবর্তিত হয়। সর্বোচ্চ উপবৃত্তাকার কক্ষপথে থাকা অবস্থায় পৃথিবীর অনুসুর ও অপসুরে সৌর বিকিরণ পাওয়ার পার্থক্য 20% থেকে 30% পর্যন্ত হতে পারে। কাজেই এই দুই অবস্থানে থাকাকালে পৃথিবীর আবহাওয়ার পার্থক্য সবচেয়ে বেশি হবে। তাই পৃথিবীর কক্ষপথ বেশি উপবৃত্তাকার হওয়া জলবায়ুকে বেশি প্রভাবিত করবে।

প্রশ্ন ১। এক বছর সমান কত দিন?

উত্তর: ৩৬৫ দিন।

 

প্রশ্ন ২। চাঁদের উৎপত্তি হয়েছে কখন?

উত্তর: ৪.৬ বিলিয়ন বছর পূর্বে।

 

প্রশ্ন ৩। বিজ্ঞানীদের ধারণা মতে পৃথিবীর কোন অঞ্চল থেকে চাঁদের উৎপত্তি হয়েছে?

উত্তর: প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল।

 

প্রশ্ন ৪। চাঁদের পূর্ণমাস হয় কত দিনে?

উত্তর: প্রায় ২৯.৫ দিনে।

 

প্রশ্ন ৫। চাঁদের বয়স কত?

উত্তর: প্রায় ৩৯০০ মিলিয়ন বছর।

 

প্রশ্ন ৬। চাঁদ কী?

উত্তর: প্রাকৃতিক উপগ্রহ।

 

প্রশ্ন ৭। চাঁদ সৌরজগতের কততম উপগ্রহ?

উত্তর: পঞ্চম বৃহত্তম উপগ্রহ।

 

প্রশ্ন ৮। সূর্যের ব্যাস কত?

উত্তর: প্রায় ১৩ লাখ ৯২ হাজার কিলোমিটার।

 

প্রশ্ন ৯। চাঁদের ব্যাস পৃথিবীর ব্যাসের কত শতাংশ?

উত্তর: ২৭ শতাংশ।

 

প্রশ্ন ১০। সূর্য কয় ধরনের ছায়া তৈরি করে?

উত্তর: দুই ধরনের।

 

প্রশ্ন ১১। সূর্য দুটি ছায়া তৈরি করে সেগুলো কী কী?

উত্তর: ১. উপছায়া, ২. প্রচ্ছায়া।

 

প্রশ্ন ১২। সূর্য, পৃথিবী ও চাঁদ কখন একই সরলরেখাতে অবস্থান করে?

উত্তর: সূর্য ও চন্দ্রগ্রহণের সময়।

 

প্রশ্ন ১৩। পৃথিবীর ছায়া কখন চাঁদের উপর পড়ে?

উত্তর: চন্দ্রগ্রহণের সময়।

 

প্রশ্ন ১৪। পৃথিবীতে আলো আসতে কত মিনিট সময় লাগে?

উত্তর: ৮.১৯ সেকেন্ড।

 

প্রশ্ন ১৫। পৃথিবী থেকে সূর্যের গড় দূরত্ব কত?

উত্তর: ১৫ কোটি কিলোমিটার।

 

প্রশ্ন ১৬। চাঁদের ছায়া পৃথিবীর কিছু অংশের উপর পড়ে এ ঘটনাকে কী বলে?

উত্তর: সূর্যগ্রহণ।

 

প্রশ্ন ১৭। পৃথিবী থেকে চাঁদের গড় দূরত্ব কত কিলোমিটার?

উত্তর: প্রায় ৩ লাখ ৮৪ হাজার ৪০০ কিলোমিটার।

 

প্রশ্ন ১৮। চাঁদ ও পৃথিবীর মধ্যবর্তী দূরত্ব সবচাইতে বেশি হলে তাকে কী বলে?

উত্তর: অপভূ।

 

প্রশ্ন ১৯। চাঁদ ও পৃথিবীর দূরত্ব সবচাইতে কম হলে তাকে কী বলে?

উত্তর: অনুভূ।

 

প্রশ্ন ২০। পৃথিবী যখন সবচাইতে দূরে থাকে তখন পৃথিবী ও চাঁদের দূরত্ব কত কি. মি.?

উত্তর: ৪.০৫ লক্ষ কি. মি.।

 

প্রশ্ন ২১। পৃথিবী যখন সবচাইতে কাছে আসে তখন পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব কত কি. মি.?'

উত্তর: ৩.৬৩ লক্ষ কি. মি.।

 

প্রশ্ন ২২। আংশিক সূর্য গ্রহণের সময় কিসের প্রাধান্য বেশি থাকে?

উত্তর: উপছায়া।

 

প্রশ্ন ২৩। পূর্ণগ্রাস সূর্য গ্রহণের সময় সূর্য, পৃথিবী ও চাঁদের অবস্থান কেমন থাকে?

উত্তর: সম্পূর্ণভাবে একই সরলরেখায় থাকে।

 

প্রশ্ন ২৪। বলয় সূর্যগ্রহণ দেখতে কিসের মতো?

উত্তর: একটা আংটির মতো।

 

প্রশ্ন ২৫। রিং অব ফায়ার বলা হয় কাকে?

উত্তর: বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণকে।

 

প্রশ্ন ২৬। চন্দ্রগ্রহণ কত প্রকার?

উত্তর: তিন প্রকার।

 

প্রশ্ন ২৭। চন্দ্রগ্রহণ কখন হয়?

উত্তর: যখন চাঁদ ও সূর্যের মাঝে পৃথিবী অবস্থান করে।

 

প্রশ্ন ২৮। চাঁদ কখন স্বাভাবিক বর্ণের তুলনায় হালকা গাঢ় বর্ণের দেখা যায়।

উত্তর: উপছায়া চন্দ্রগ্রহণের সময়।

 

প্রশ্ন ২৯। চন্দ্রগ্রহণ কত সময় দীর্ঘ হয়?

উত্তর: ২-৩ ঘণ্টা।

 

প্রশ্ন ৩০। পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদের রং কেমন হয়?

উত্তর: লাল বর্ণের।

 

প্রশ্ন ৩১। পৃথিবীর ছায়া কখন চাঁদের উপর পড়ে?

উত্তর: চন্দ্রগ্রহণের সময়।

 

প্রশ্ন ৩২। বিষুবরেখা থেকে দক্ষিণ দিকে কোন রেখা অবস্থিত?

উত্তর: মকরক্রান্তি রেখা।

 

প্রশ্ন ৩৩। বিষুবরেখা থেকে উত্তর দিকে কোন রেখা অবস্থিত?

উত্তর: কর্কটক্রান্তি রেখা।

 

প্রশ্ন ৩৪। ২১ জুন সূর্য কোন রেখার উপর লম্বভাবে কিরণ দেয়?

উত্তর: কর্কটক্রান্তি রেখা।

 

প্রশ্ন ৩৫। অ্যানালেমার আকৃতি কেমন?

উত্তর: চার (৪) আকৃতির মতো।

 

প্রশ্ন ৩৬। পৃথিবী সূর্যকে কীভাবে প্রদক্ষিণ করে?

উত্তর: উপবৃত্তাকার পথে।

 

প্রশ্ন ৩৭। পৃথিবী যদি গোলাকার পথে ঘুরতো তবে দুটি লুপের অবস্থান কেমন হবে?

উত্তর: সমান।

 

প্রশ্ন ৩৮। পৃথিবী নিজ অক্ষকে কেন্দ্র করে ঘোরে এ গতিকে কী বলে?

উত্তর: আহ্নিক গতি।

 

প্রশ্ন ৩৯। সূর্যের চারপাশে পৃথিবীর ঘূর্ণনকে কী বলে?

উত্তর: বার্ষিক গতি।

 

প্রশ্ন ৪০। পৃথিবীর কক্ষপথের সমতল সাপেক্ষে কত ডিগ্রি হেলে থাকে?

উত্তর: ২৩.৫°কোণে।

 

প্রশ্ন ৪১। উত্তর গোলার্ধে দীর্ঘতম দিন কত তারিখে?

উত্তর: ২১ জুন।

 

প্রশ্ন ৪২। উত্তর গোলার্ধে দিন রাত সমান কত তারিখ?

উত্তর: ২১ মার্চ।

 

প্রশ্ন ৪৩। দক্ষিণ গোলার্ধে দিন রাত সমান হয় কত তারিখ?

উত্তর: ২৩ সেপ্টেম্বর।

 

প্রশ্ন ৪৪। দক্ষিণ গোলার্ধে দীর্ঘতম দিন কত তারিখ?

উত্তর: ২২ ডিসেম্বর।

 

প্রশ্ন ৪৫। পৃথিবী সূর্যের কাছে থাকলে তাকে কী বলে?

উত্তর: অনুসুর।

 

প্রশ্ন ৪৬। পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব বেশি থাকলে তাকে কী বলে?

উত্তর: অপসুর।

 

প্রশ্ন ৪৭। অনুসুর কালে সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব কত?

উত্তর: ১৪.৭ কোটি কিলোমিটার।

 

প্রশ্ন ৪৮। অপসুরকালে সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব কত?

উত্তর: ১৫.২ কোটি কিলোমিটার।ধরন ১

 

সংক্ষেপে উত্তর দাও

 

প্রশ্ন ১। চাঁদের উৎপত্তি কিভাবে হয়েছে?

 

উত্তর: সৌরজগৎ সৃষ্টির প্রাথমিক সময়ে থিয়া নামের মঙ্গল গ্রহের সমান একটি গ্রহের সাথে পৃথিবীর একটি ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষে পৃথিবীর একটি অংশ উৎক্ষিপ্ত হয়ে পৃথিবীকে ঘিরে ঘুরতে থাকে যেটিকে আমরা চাঁদ বলি। এভাবে থিয়া ও পৃথিবীর সংঘর্ষের ফলে চাঁদের উৎপত্তি হয়েছে।

 

প্রশ্ন ২। উপছায়া বলতে কী বুঝ?

উত্তর: যখন একটি বস্তু আলোর উৎসের একটি অংশকে বাধাপ্রাপ্ত করে ছায়া তৈরি করে কিন্তু আলোর উৎসের অন্য অংশ এই ছায়াতে পতিত হয়ে আংশিকভাবে আলোকিত করে তখন তাকে উপছায়া বলে।

 

প্রশ্ন ৩। সূর্যগ্রহণ বলতে কী বুঝ?

উত্তর: যখন চাঁদ পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করার সময়ে ঠিক সূর্য ও পৃথিবীর মাঝামাঝি এসে পড়ে তখন সেটি সূর্যের আলোকে পৃথিবীতে আসতে বাধা দেয়। এই বাধা প্রদানের ঘটনাটিকে সূর্যগ্রহণ বলা হয়।

 

প্রশ্ন ৪। অপভূ ও অনুভূ বলতে কী বুঝ?

উত্তর: চাঁদ ও পৃথিবীর মধ্যবর্তী দূরত্ব সবচাইতে বেশি হলে তাকে বলে অপভূ (opogee)। চাঁদ ও পৃথিবীর দূরত্ব সবচাইতে কম হলে তাকে বলে অনুভূ (ponigee)

 

প্রশ্ন ৫। প্রচ্ছায়া কাকে বলে?

উত্তর: যখন কোনো বস্তুর অবস্থানের কারণে উৎস থেকে আলোটি সম্পূর্ণভাবে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে ছায়া তৈরি করে তখন তাকে প্রচ্ছায়া বলে।

 

প্রশ্ন ৬। আংশিক সূর্যগ্রহণ বলতে কী বুঝ?

উত্তর: পৃথিবী ও সূর্যের মাঝামাঝি অবস্থানকালে চাঁদ যদি সূর্যের খানিকটা অংশ ঢেকে ফেলে তবে আংশিক সূর্যগ্রহণ সংঘটিত হয়। এক্ষেত্রে যে স্থানে আংশিক সূর্যগ্রহণ দেখা যায় সেখানে সূর্যকে চাঁদ দ্বারা আংশিক ঢাকা অবস্থায় দেখা যায়।

 

প্রশ্ন ৭। পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ কী?

উত্তর: গ্রহণের সময় সূর্য যদি চাঁদের দ্বারা সম্পূর্ণ ঢেকে যায় তবে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ সংঘটিত হয়। অর্থাৎ চাঁদ অনুভূ অবস্থানে থাকার সময় যদি সূর্যগ্রহণ হয় তবে তাকে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ বলা হয়।

 

প্রশ্ন ৮। সূর্যগ্রহণের ডায়মন্ড রিং বলতে কী বুঝ?

উত্তর: পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের শুরু এবং শেষ মুহূর্তে সূর্যের তীব্র আলো দৃশ্যমান হয় যা দেখতে অনেকটা হীরার আংটির মতো দেখা যায়। এই অবস্থাকে সূর্যগ্রহণের এয়মন্ড রিং বলা হয়।

 

প্রশ্ন ৯। বলয় সূর্যগ্রহণ কাকে বলে?

উত্তর: পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের সময় অনেক্ষেত্রে চাঁদ সূর্যকে সম্পূর্ণ ঢেকে রাখতে পারে না। তখন চাঁদের চারপাশে সূর্যকে আংটির মতো দেখা যায়। এই ধরনের বলয় আকৃতির সূর্যগ্রহণকে বলয় সূর্যগ্রহণ বলে।

 

প্রশ্ন ১০। আংশিক চন্দ্রগ্রহণ বলতে কী বুঝ?

উত্তর: অনেকক্ষেত্রে চন্দ্রগ্রহণের সময় সূর্য, পৃথিবী এবং চাঁদ এমনভাবে অবস্থান করে যে চাঁদের কিছু অংশ পৃথিবীর প্রচ্ছায়া এবং বাকি অংশ উপছায়া দ্বারা আবৃত হয়। চন্দ্রগ্রহণের এই অবস্থাকে আংশিক চন্দ্রগ্রহণ বলে।

 

প্রশ্ন ১১। উপছায়া চন্দ্রগ্রহণ কী?

উত্তর: চাঁদ পৃথিবীর উপছায়ার মধ্যদিয়ে অতিক্রম করার সময় যে চন্দ্রগ্রহণ লক্ষ করা যায় তাকে উপছায়া চন্দ্রগ্রহণ বলা হয়। এ সময় চাঁদকে তার স্বাভাবিক বর্ণের তুলনায় হালকা গাঢ় বর্ণের দেখা যায়।

 

প্রশ্ন ১২। আহ্নিক গতি ও বার্ষিক গতি কী?

উত্তর: পৃথিবীর নিজ অক্ষকে কেন্দ্র করে ঘূর্ণনকে আহ্নিক গতি বলে। অন্যদিকে পৃথিবীর সূর্যের চারপাশের ঘূর্ণনকে বার্ষিক গতি বলে।

 

প্রশ্ন ১৩। অনুসুর এবং অপসুর কী?

উত্তর: যে বিন্দুতে পৃথিবী সূর্যের সবচেয়ে কাছে থাকে তাকে অনুসুর (Perihelion) বলে। যে বিন্দুতে সূর্য থেকে পৃথিবী সবচেয়ে দূরে থাকে তাকে অপসুর (Aphelion) বলে।

 

প্রশ্ন ১৪। ধ্রুবতারা কী?

উত্তর: পৃথিবীর উত্তর মেরু যে বিন্দু বা নক্ষত্র বরাবর থাকে তাকে ধ্রুবতারা বলা হয়। বর্তমানে পৃথিবীর উত্তরমেরু পোলারিস নক্ষত্রকে নির্দেশ করে বলে সেটাই আমাদের ধ্রুবতারা। আজ থেকে 14 হাজার বছর পরে এটি ভেগা নক্ষত্রের দিকে নির্দেশ করবে। তখন সেটাই হবে নতুন ধ্রুবতারা।

 

প্রশ্ন ১৫। পৃথিবীর অক্ষের তির্যকতা কী?

উত্তর: পৃথিবীর অক্ষ তার কক্ষপথের সমতলের সাপেক্ষে 23.5° হেলানো অবস্থায় আছে। কক্ষপথের সাপেক্ষে এই হেলানোর পরিমাপকে পৃথিবীর অক্ষের তির্যকতা বলা হয়।

 

ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন ১। পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহটি কিভাবে সৃষ্টি হয়েছে ব্যাখ্যা কর।

উত্তর: পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ হলো চাঁদ। এই উপগ্রহটি যেভাবে সৃষ্টি হয়েছে তা নিচে ব্যাখ্যা করা হলো-

চাঁদের উৎপত্তি নিয়ে বেশ কিছু ভিন্ন ভিন্ন মতবাদ থাকলেও বর্তমানে সবচেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্য মতবাদটি হচ্ছে 'সংঘর্ষ' মতবাদ। চন্দ্রাভিযানের পর চাঁদ থেকে নিয়ে আসা চাঁদের মাটি বিশ্লেষণ করে তার সাথে পৃথিবীর মাটির বিস্ময়কর মিল খুঁজে পাওয়া গেছে। সেজন্য অনুমান করা হয় সৌরজগৎ সৃষ্টির প্রাথমিক সময়টিতে 'থিয়া' নামের প্রায় মঙ্গল গ্রহের সমান একটি গ্রহের সাথে পৃথিবীর একটি ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়। সেই সংঘর্ষে পৃথিবীর একটি অংশ উৎক্ষিপ্ত হয়ে পৃথিবীকে ঘিরে - ঘুরতে শুরু করে, যেটাকে আমরা এখন চাঁদ বলি।

 

প্রশ্ন ২। হাইব্রিড সূর্যগ্রহণ কী?

উত্তর: হাইব্রিড সূর্যগ্রহণের আরেক নাম রিং অব ফায়ার। ১৮ মাস পরপর একটি করে সূর্যের পূর্ণগ্রাস গ্রহণ হয়। এই সময়সূর্যকে পুরোপুরি ঢেকে দেয় চাঁদ। সূর্যের নানা ধরনের গ্রহণ হয়। কখনও আংশিক ঢাকা পড়ে সূর্য, আবার কখনও পুরোপুরি ঢাকা পড়ে যায় সূর্য, যাকে বলে পূর্ণ সূর্যগ্রহণ। আবার কখনও বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ হয়, যা পরিচিত রিং অব ফায়ার নামে। আর যদি তিন রকম গ্রহণ একসঙ্গে ঘটে, তখন তাকে বলে হাইব্রিড গ্রহণ। অর্থাৎ বলা যায় যে, যখন সূর্য, পৃথিবী ও চাঁদ সম্পূর্ণভাবে একই সরলরেখাতে আসে তখন পূর্ণগ্রাস বা হাইব্রিড সূর্যগ্রহণ হয়।

 

প্রশ্ন ৩। উপছায়া ও প্রচ্ছায়া কী ব্যাখ্যা কর।

উত্তর: কোনো আলোক উৎসের সামনে অস্বচ্ছ বস্তু রাখলে যে ছায়া উৎপন্ন হয় তা নির্ভর করে আলোর উৎস, পর্দার দূরত্বের ওপর। এখন অস্বচ্ছ বস্তুর পিছনে একটি পর্দা রাখলে, আলোক উৎস যদি বিস্তৃত বা বড়ো আকারের হয় তখন এই প্রচ্ছায়া বা গাঢ় অন্ধকার অংশের চারপাশে অপেক্ষাকৃত কম অন্ধকারাচ্ছন্ন অঞ্চলের সৃষ্টি হয়। একে উপছায়া বলে। বিন্দু আলোক উৎসের ক্ষেত্রে প্রচ্ছায়া বিস্তৃত আলোক উৎসের গতিপথে রাখা অস্বচ্ছ বস্তুর যে ছায়া পর্দায় গঠিত হয় তার মাঝের গাঢ় অন্ধকারাচ্ছন্ন। অংশকে প্রচ্ছায়া বলে। স্বাভাবিকভাবেই উপছায়া অনেক বড় অংশ জুড়ে অবস্থান করে। প্রচ্ছায়ার ক্ষেত্রে এই ছায়া গাঢ় ধরনের হয় এবং গ্রহণের সময় প্রচ্ছায়া অঞ্চল কিছু সময়ের জন্য ঢেকে যায় গাঢ় অন্ধকারে। প্রচ্ছায়া উপছায়ার তুলনায় অনেক কম এলাকা জুড়ে অবস্থান করে।

 

প্রশ্ন ৪। অ্যানালেমা কী ব্যাখ্যা কর।

উত্তর: সূর্যের অবস্থান বিষয়টি লক্ষ করলে দেখতে পাওয়া যায় বছরের বিভিন্ন সময়ে সূর্যের অবস্থানের পরিবর্তন লক্ষ করা যায়। বছরের বিভিন্ন সময়ে আকাশে সূর্যের পর্যায়ক্রমিক অবস্থানের পরিবর্তনকে অ্যানালেমা বলে। অ্যানালেমার আকৃতি ইংরেজিতে আট এর মতো এবং বাংলাতে চার এর মতো। অ্যানালেমার দুটি লুপের মধ্যে নিচেরটি বড় এবং উপরেরটি ছোট। পৃথিবীর কক্ষপথ উপবৃত্তাকার না হয়ে বৃত্তাকার হলে অ্যানালেমার লুপ দুটি সমান হতো। পৃথিবীর কক্ষপথ ২৩.৫ ডিগ্রি হেলানো না হয়ে খাড়া হতো তাহলে অ্যানালেমাটি হতো সরলরেখা আকৃতির। অ্যানালেমা অনেক গুরত্বপূর্ণ কারণ অক্ষাংশ, দ্রাঘিমাংশ, সময়, তারিখ ইত্যাদি নির্ণয়ের কাজে এটি ব্যবহার করা হয়।

 

প্রশ্ন ৫। অপসুর ও অনুসুর কী ব্যাখ্যা কর।

উত্তর: সূর্যের চারিদিকে ঘূর্ণায়মান কোনো বস্তু সাধারণত বৃত্তাকার কক্ষপথে না ঘুরে অনেকটা উপবৃত্তাকার কক্ষপথ অনুসরণ করে। তাই সূর্যের থেকে বিভিন্ন বস্তুর দূরত্ব বাড়ে এবং কমে। পৃথিবী তার বিপরীত নয়, কারণ পৃথিবী সূর্যকে কেন্দ্র করে উপবৃত্তাকারভাবে ঘোরে এবং সকল গ্রহ একই নিয়ম মেনে চলে। কোনো গ্রহ থেকে সূর্যের ন্যূনতম দূরত্বকে উক্ত গ্রহের অনুসুর বলে এবং এর বিপরীতকে অপসুর বলা হয়। যে দিন সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব সবচেয়ে কম থাকে তাকে অনুসুর বলে। যেদিন সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব বেশি থাকে তাকে অপসুর. বলে। সাধারণত ১ থেকে ৩ জানুয়ারি সূর্য ও পৃথিবীর মধ্যবর্তী দূরত্ব সবচেয়ে কম থাকে। সাধারণত ১ থেকে ৪ জুলাই সূর্য ও পৃথিবীর মধ্যবর্তী দূরত্ব সবচেয়ে বেশি থাকে।

 

চিন্তন দক্ষতাভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন ১। পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ কী? প্রতি বছর ২১ জুন দিনটি বড় হয় কেন?

উত্তর: সূর্য যদি চাদের দ্বারা পুরোপুরি ঢেকে যায় তাকে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ বলে। সৌরজগতের নিয়ম অনুযায়ী পৃথিবী সূর্যের চারিদিকে ঘোরার সময় একদিকে একটু হেলে থাকে। ফলে কখনো উত্তর গোলার্ধ সূর্যের কাছে আসে, আবার কখনো দক্ষিণ গোলার্ধ সূর্যের কাছে আসে। ২১ জুন সূর্যের আলো কর্কটক্রান্তিরেখার উপর একেবারে খাড়াভাবে কিরণ দেয়। ফলে এই দিনে সূর্যের আলোক রশ্মি পৃথিবীতে দীর্ঘ সময় ধরে পড়ে। তাই এই দিনটি উত্তর গোলার্ধের সবচেয়ে লম্বাদিন হয়। ফলে উত্তর গোলার্ধে প্রতি বছর ২১ জুন দিনটি বড় হয়।

 

প্রশ্ন ২। প্রচ্ছায়া কী? প্রতি অমাবস্যা ও পূর্ণিমাতে সূর্য গ্রহণ হয় না কেন?

উত্তর: বিস্তৃত আলোক উৎসের গতিপথে রাখা অস্বচ্ছ বস্তুর যে ছায়া পর্দায় গঠিত হয়, তার মাঝের গাঢ় অন্ধকারাচ্ছন্ন অংশকে প্রচ্ছায়া বলে।

চাঁদ যদি পৃথিবীর কক্ষপথের সাথে একই তলে থেকে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করত তাহলে প্রতি পূর্ণিমা এবং অমাবস্যায় চন্দ্রগ্রহণ ও সূর্য গ্রহণ দেখা যেত। কিন্তু চাঁদ পৃথিবীর সাপেক্ষে ৫ ডিগ্রি কোণে প্রদক্ষিণ করে। তাই প্রতি পূর্ণিমায় এবং অমাবস্যায় সূর্য আর পৃথিবীকে একটি সরলরেখায় সংযুক্ত করতে পারে না। যার কারণে প্রতি পূর্ণিমা ও অমাবস্যা চন্দ্রগ্রহণ ও সূর্যগ্রহণ হয় না।

 

প্রশ্ন ৩। সূর্য ও পৃথিবীর মাঝে চাঁদ অবস্থান করলে সূর্যের আলো পৃথিবীতে আসতে পারে না। এই ঘটনার প্রভাব সম্পর্কে

আলোচনা কর।

উত্তর: সূর্য ও পৃথিবীর মাঝে চাঁদ অবস্থান করলে সূর্যের আলো পৃথিবীতে আসতে পারে না। এই ঘটনাটিকে আমরা সূর্যগ্রহণ বলি। নিম্নে সূর্যগ্রহণের প্রভাব সম্পর্কে আলোচনা করা হলো-

সূর্যগ্রহণের সময় পরিবেশের উপর সাময়িক প্রভাব পড়ে। আংশিক গ্রহণ অনেকটা সময় জুড়ে চলতে পারে কিন্তু পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ এর সময় সূর্য মাত্র কয়েক মিনিটের জন্য সম্পূর্ণ ঢেকে যেতে পারে। 'পৃর্ণগ্রাস গ্রহণকালীন সময়ে হঠাৎ চারদিক অন্ধকার হয়ে যাওয়ায় পশুপাখিরা হতচকিত হয়ে যায়। অসময়ে অন্ধকার হয়ে যাওয়ায় অনেক পাখি ভয় পেয়ে ডাকাডাকি বন্ধ করে দেয়, ঝিঁঝি পোকা শব্দ করা শুরু করতে পারে, উদ্ভিদে ফুল বুজে যাওয়া শুরু হতে পারে। কিছু কিছু স্থানে বায়ুর তাপমাত্রাও সামান্য কমে যেতে পারে।

 

প্রশ্ন ৪। একদিন ক্লাসে শিক্ষক পড়ানোর সময় হঠাৎ শ্রেণিকক্ষ অন্ধকার হয়ে গেল। সেই মুহূর্তে শিক্ষক তোমাদের বলল এই ঘটনার গুরুত্ব অনেক। শিক্ষকের কথাটির যথার্থতা ব্যাখ্যা কর।

উত্তর: প্রশ্নে উল্লেখিত ঘটনাটি হলো সূর্যগ্রহণ। শিক্ষকের কথা অনুসারে সূর্যগ্রহণের গুরুত্ব অনেক। নিম্নে শিক্ষকের কথাটির যথার্থতা ব্যাখ্যা করা হলো-

সূর্যগ্রহণ সূর্য সংক্রান্ত গবেষণার কিছু দুর্লভ সুযোগ সৃষ্টি করে। যেমন সূর্যের করোনা নিয়ে তথ্য সংগ্রহের সবচেয়ে ভালো সুযোগ সূর্যগ্রহণের সময় আসে। পৃথিবীর বায়ুমন্ডলের বাইরে অবস্থিত হওয়ায় এবং চাঁদ দ্বারা সূর্য ঢেকে যাওয়ার ফলে তখন সূর্যের করোনা পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকেই পর্যবেক্ষণ করা যায়। গ্রহণের সময় পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল বিশেষ করে বায়ুমণ্ডলের উপরের অংশে কী ধরনের পরিবর্তন হয় তা পর্যবেক্ষণ করা যায়। পৃথিবীর বায়ুমন্ডলের বাইরের অংশে সূর্যের তেজস্ক্রিয় বিকিরণের ফলে বিভিন্ন ধরনের চার্জযুক্ত কণা তৈরি হয়। এই অংশে পৃথিবীর অনেক কৃত্রিম উপগ্রহ অবস্থান করায় তা পর্যবেক্ষণ করা যায়। উল্লেখিত আলোচনা অনুযায়ী আমরা বলতে পারি যে সূর্যগ্রহণের গুরুত্ব অত্যান্ত তাৎপর্যপূর্ণ তাই আমি মনে করি শিক্ষকের কথাটির যথোপযুক্ত ছিলো।

 

প্রশ্ন ৫। গ্রীষ্মকালে সূর্য অনেকটা মাথার উপরে থাকলেও শীতকালে সূর্যকে দক্ষিণ দিকে হেলানো অবস্থায় দেখা যায় কেন?

উত্তর: গ্রীষ্মকালে সূর্য অনেকটা মাথার উপরে থাকলেও শীতকালে অনেকটা দক্ষিণ দিকে হেলানো দেখা যায়- কারণ সূর্য প্রতিদিন একই সময়ে আকাশের একই স্থানে অবস্থান করে না। জুন মাসের 21 তারিখ সূর্য ঠিক কর্কটক্রান্তি রেখার উপর লম্বভাবে থাকে, যেহেতু কর্কটক্রান্তি রেখাটি বাংলাদেশের উপর দিয়ে গিয়েছে তাই ঐ সময়ে আমরা সূর্যকে ঠিক মাথার উপর দিয়ে পূর্ব থেকে পশ্চিমে যেতে দেখি। সময় যতই যেতে থাকে সূর্য ততই দক্ষিণ দিকে হেলে যেতে থাকে। ছয় মাস পর ডিসেম্বরের 22 তারিখ সূর্য মকরক্রান্তি রেখার উপর লম্বভাবে থাকে। আমাদের দেশ থেকে আমরা সূর্যকে সবচেয়ে বেশি হেলানো অবস্থায় পূর্বদিক থেকে পশ্চিম দিকে যেতে দেখি। তারপর সূর্য আবার উত্তর দিকে ফিরে আসতে থাকে এবং ছয় মাস পর আবার ঠিক আমাদের মাথার উপর দিয়ে পূর্ব থেকে পশ্চিমে যায়।

 

প্রশ্ন ৬। চিত্রের ঘটনাটি ব্যাখ্যা কর।



উত্তর: প্রশ্নে উল্লেখিত ঘটনাটি চন্দ্রগ্রহণকে নির্দেশ করে। চাঁদ পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করার সময় অনেক ক্ষেত্রে এমন অবস্থানে চলে আসে যে চাঁদ এবং সূর্যের মাঝামাঝি পৃথিবী অবস্থান করে। এক্ষেত্রে সূর্য, পৃথিবী এবং চাঁদ এক সরলরেখায় থাকে, ফলে পৃথিবীর ছায়া চাঁদের উপরে পড়ে এবং চন্দ্রগ্রহণ হয়। চন্দ্রগ্রহণের সময় কখনো পৃথিবীর উপছায়া কখনো প্রচ্ছায়া কিংবা কখনো দুটিই চাঁদের উপর পড়ে।

 

প্রশ্ন ৭। গ্রীষ্মকালে বেশি গরম এবং শীতকালে বেশি শীত হয় কেন?

উত্তর: আমরা জানি যে পৃথিবীর অক্ষ তার কক্ষপথের সমতলের সাপেক্ষে 23.5° হেলানো অবস্থায় আছে। কক্ষপথের সাপেক্ষে এই হেলানোর পরিমাপকে পৃথিবীর অক্ষের তির্যকতা বলা হয়। পৃথিবীর অক্ষের এই তির্যকতাও খুব ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হয়। এই মুহূর্তে পৃথিবীর তির্যকতা 23.5° কিন্তু এটি খুব ধীরে ধীরে কমছে। প্রায় 41.000 বছরের একটি চক্রে পৃথিবীর তির্যকতা 22.1° থেকে 24.5°-এর মাঝে পরিবর্তিত হয়। এই তির্যকতা যত বেশি হয় ঋতুগুলোর মাঝে আবহাওয়ার পার্থক্য তত বেশি হয়। এই কারণে গ্রীষ্মকালে বেশি গরম এবং শীতকালে বেশি শীত হয়ে থাকে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবম শ্রেণি: বিজ্ঞান বই: নবম অধ্যায়: জৈব অণু অধ্যায়ের নোট (পর্ব:০১)

জৈব অণু অধ্যায়ের মূলকথা সজীব কোষ অসংখ্য অণু দিয়ে গঠিত। এই অণুগুলোর মধ্যে রয়েছে ক্ষুদ্র অণু এবং বৃহৎ অণু যেগুলো একত্রে জৈব অণু বলে পরিচিত। ...