সোমবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

পরিবেশ ও বাস্তুতন্ত্র

অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান বইয়ের চতুর্দশ অধ্যায় পরিবেশ ও বাস্তুতন্ত্র এর গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি নিম্নে দেওয়া হল। আশাকরি শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে।

পরিবেশ:

আমাদের চারপাশের সবকিছু নিয়েই আমাদের পরিবেশ। পরিবেশে স্বতন্ত্র ধরনের অজীব ও জীব উপাদান থাকে।

 

বাস্তুতন্ত্র:

যেকোনো একটি পরিবেশের অজীব এবং জীব উপাদানসমূহের মধ্যে পারস্পরিক ক্রিয়া, আদান-প্রদান ইত্যাদির মাধ্যমে পরিবেশে যে তন্ত্র গড়ে উঠে তাকে বাস্তুতন্ত্র বলে।

 

বাস্তুতন্ত্রের উপাদান:

বাস্তুতন্ত্র অজীব এবং জীব এই দুটি প্রধান উপাদান নিয়ে গঠিত।

 

অজীব উপাদান:

বাস্তুতন্ত্রের প্রাণহীন সব উপাদান অজীব উপাদান নামে পরিচিত। এই অজীব উপাদান আবার দুই ধরনের।

যথা:

(ক) অজৈব বা ভৌত উপাদান এবং

(খ) জৈব উপাদান।

অজীব উপাদানের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন প্রকার খনিজ লবণ, মাটি, আলো, পানি, বায়ু, তাপ, আর্দ্রতা ইত্যাদি। সকল জীবের মৃত ও গলিত দেহাবশেষ জৈব উপাদান নামে পরিচিত।

 

জীব উপাদান:

পরিবেশের সকল জীবন্ত অংশই বাস্তুতন্ত্রের জীব উপাদান। জীব উপাদানকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়।                     যথা:

(ক) উৎপাদক,

(খ) খাদক এবং

(গ) বিয়োজক।

 

(ক) উৎপাদক:

সবুজ উদ্ভিদ যারা সূর্যের আলোর উপস্থিতিতে সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় নিজেদের খাদ্য নিজেরা তৈরি করতে পারে তারা উৎপাদক নামে পরিচিত।

(খ) খাদক বা ভক্ষক:

যে সকল প্রাণী উদ্ভিদ থেকে পাওয়া জৈব পদার্থ খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করে বা অন্য কোনো প্রাণী খেয়ে জীবন ধারণ করে তারাই খাদক বা ভক্ষক নামে পরিচিত।

বাস্তুতন্ত্রে তিন ধরনের খাদক রয়েছে।

যেমন :

 i. প্রথম স্তরের খাদক,

ii. দ্বিতীয় স্তরের খাদক এবং

iii. তৃতীয় স্তরের খাদক বা সর্বোচ্চ খাদক

(গ) বিয়োজক:

এরা পচনকারী নামেও পরিচিত। পরিবেশে কিছু অণুজীব আছে, বিশেষ করে ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক যারা মৃত উদ্ভিদ ও প্রাণীর দেহের উপর ক্রিয়া করে। এসময় মৃত উদ্ভিদ ও প্রাণীদেহে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে। ফলে, মৃতদেহ ক্রমশ বিয়োজিত হয়ে নানা রকম জৈব ও অজৈব দ্রব্যাদিতে রূপান্তরিত হয়।

বাস্তুতন্ত্রের প্রকারভেদ:

প্রাকৃতিক পরিবেশে দু’ধরনের বাস্তুতন্ত্র রয়েছে। স্থলজ এবং জলজ বাস্তুতন্ত্র।

খাদ্য শৃঙ্খল:

উৎস থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রাণীর মধ্যে একে অন্যকে খাওয়ার মাধ্যমে শক্তির যে স্থানান্তর ঘটে তাই খাদ্যশৃঙ্খল।

যেমন: ঘাস à পতঙ্গ à ব্যাঙ à সাপ à ঈগল।

খাদ্যজাল:

বাস্তুতন্ত্রে অসংখ্য খাদ্যশৃঙ্খল পরস্পর সম্পর্কযুক্ত। খাদ্যশৃঙ্খলের এ ধরনের সংযুক্তিকে খাদ্যজাল বলা হয়।

 

বাস্তুতন্ত্রে শক্তি প্রবাহ:

সবুজ উদ্ভিদের মাধ্যমেই সূর্যশক্তি থেকে সৃষ্ট রাসায়নিক শক্তি বিভিন্ন প্রাণীতে খাদ্য শৃঙ্খলের মাধ্যমে স্থানান্তরিত হয়। উৎপাদক থেকে আরম্ভ করে সর্বোচ্চ খাদক পর্যন্ত শক্তি রূপান্তরের সময় প্রতিটি ধাপে শক্তি হ্রাস পেতে থাকে। প্রতি স্তরে শক্তি হ্রাস পেলেও বিয়োজক যখন বিভিন্ন মৃত জীবে বর্জ্য পদার্থে বিক্রিয়া ঘটায় তখন অজৈব পুষ্টিদ্রব্য পরিবেশে মুক্ত হয়ে পুষ্টিভাণ্ডারে জমা হয়। এভাবে শক্তি প্রবাহ চলতে থাকে। এ শক্তিপ্রবাহ একমুখী ও পুষ্টিদ্রব্যের এই প্রবাহ চক্রাকারে চলে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবম শ্রেণি: বিজ্ঞান বই: নবম অধ্যায়: জৈব অণু অধ্যায়ের নোট (পর্ব:০১)

জৈব অণু অধ্যায়ের মূলকথা সজীব কোষ অসংখ্য অণু দিয়ে গঠিত। এই অণুগুলোর মধ্যে রয়েছে ক্ষুদ্র অণু এবং বৃহৎ অণু যেগুলো একত্রে জৈব অণু বলে পরিচিত। ...